নয়া দিল্লি: কৃষি আইন (Farm laws) প্রত্যাহার ও নূন্যতম সহায়ক মূল্যের (Minimum Support Price) আইনি গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে আজ, সোমবার কেন্দ্রের সঙ্গে সপ্তম দফা বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষক সংগঠনগুলির প্রধানরা। আজকের বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র না মিললে ৬ জানুয়ারি থেকে ট্রাক্টর মিছিল (Tractor March) শুরু করার হুমকি দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকরা।
গত ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রের সঙ্গে ষষ্ঠ দফা বৈঠকে বসেছিল আন্দোলনকারী কৃষকরা। বৈঠক শেষে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, কৃষকদের দুটি দাবি- বিদ্যু সংশোধনী বিল প্রত্যাহার ও খড়কুটো জ্বালানোর শাস্তি, এই বিষয়গুলি নিয়ে সম্মতিতে পৌঁছানো সম্ভব হলেও বাকি দুটি দাবি নিয়ে এখনও বিরোধ রয়েছে।
কৃষকরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় থাকলেও কেন্দ্রের তরফে আগের বৈঠকেই জানানো হয়েছিল যে, আইন প্রত্যাহার সম্ভব নয়। একইসঙ্গে ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যেরও আইনি গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয় এই মুহূর্তে। এরজন্য একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে, যারা এই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখবে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাকসিনের ছাড়পত্র নিয়ে জলঘোলা বিরোধীদের, বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
অন্যদিকে, কৃষকরা জানান, যদি আজকের বৈঠকেও তাঁদের দাবি না মেটানো হয়, তবে আগামী ৬ তারিখ থেকে জিটি-কার্নল রোডে ট্রাক্টর মিছিলের সূচনা করবেন। ১৫ দিন অবধি চলবে সেই আন্দোলন। আগামী সপ্তাহ থেকে সাহাজানপুর সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকরাও দিল্লির দিকে অগ্রসর হবেন। এরপর ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic day) দিনও তাঁরা দিল্লি জুড়ে ট্রাক্টর মিছিলের আয়োজন করবেন।
গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) তরফেও একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের বেঞ্চ কেন্দ্রকে বলে, ” আপনারা কৃষকদের সঙ্গে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরবর্তী দিনেও কোনও সমঝোতাই কার্যকরী হবে না কারণ তারা (কৃষক) মানবেন না।”
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ বৃহত্তর আন্দোলনের রূপ নিচ্ছে কৃষক আন্দোলন। এর আগেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়ে কৃষকরা রিলে অনশন, টোল প্লাজা দখল, ভারত বনধের মতো নানা পদক্ষেপ করেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। কৃষকদের সমর্থনে পাশে দাড়িয়েছে বহু রাজনৈতিক দলও।
আরও পড়ুন: ‘অটল’ মোদী সরকারকে ‘রাজধর্ম’ পালনের দাওয়াই দিলেন সোনিয়া