নয়া দিল্লি: জল্পনা-ই সত্যি হল। এনডিএ-তে ফিরলেন তেলেগু দেশম পার্টি (TDP) নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। শুধু পুরানো দলে ফেরা নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন রফাও চূড়ান্ত করে ফেললেন চন্দ্রবাবু। গত ৯ মার্চই চন্দ্রবাবু নাইডু এনডিএ-তে যোগদান করেছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপি নেতা আলোকমানের সঙ্গে চন্দ্রবাবু নাইডুর বৈঠক চলছিল। দক্ষিণের রাজ্যে ক্ষমতা বাড়াতে পুরানো শরিককে দলে ফেরাতে তৎপর হয়েছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন টিডিপি নেতা। অবশেষে সোমবার রাতে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর আসন রফা চূড়ান্ত করলেন চন্দ্রবাবু।
অন্ধ্রের আঞ্চলিক দল, জন সেনা-র সঙ্গে দিন কয়েক আগেই জোট করার ঘোষণা করেছে টিডিপি। এবার এই দুই দল বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধল। সোমবার রাতে গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জন সেনা-র প্রধান পবন কল্যাণের দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরই বিজেপি, টিডিপি এবং জন সেনা যৌথ বিবৃতি দিয়ে অন্ধ্রে আসন রফা ঘোষণা করে। অন্ধ্র প্রদেশের ২৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৬টি আসনে প্রার্থী দেবে। টিডিপি ১৭টি আসনে প্রার্থী দেবে। আর ২টি আসনে প্রার্থী দেবে পবন কল্যাণের জন সেনা দল।
কোন দল কোন আসনে প্রার্থী দেবে তার এখনও স্পষ্ট বার্তা মেলেনি। তবে আরাকু, রাদামুন্ড্রি, আনাকাপল্লি, তিরুপতি, নরসাপুরম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দেবে বলে সূত্রের খবর। আরেকটি আসন এখনও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে, মচিলিপতনম এবং কাঁকিনাড়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জন সেনা।
প্রসঙ্গত, একসময়ে দক্ষিণের রাজ্যে এনডিএ-কে নিয়ে আসার অন্যতম কর্ণধার ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তাঁর দল। কিন্তু, অন্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলে ২০১৮ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু হয়। তারপর ২০১৯ সালে চন্দ্রবাবু নাইডু এনডিএ ত্যাগ করেন এবং একাই নির্বাচনে লড়েন। তারপর বিধানসভা নির্বাচনেও একা লড়াই করে ওয়াইএসআর জগন্মোহন রেড্ডির কাছে পরাজিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারান চন্দ্রবাবু নাইডু। ৬ বছর পর ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালেন তিনি।