নয়া দিল্লি: দলের জন্য আপ্রাণ লড়াই করেও জোটেনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ, সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েই। কিন্তু ২০২০ সালেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট(Ashok Gehlot)-র সঙ্গে বিরোধ এতটাই চরমে ওঠে যে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন সচিন পাইলট(Sachin Pilot)। এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা। শোনা গিয়েছিল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতোই তিনিও বিজেপি(BJP)-তে যোগ দেবেন। এই বিষয়ে মঙ্গলবারও তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মেজাজ হারান। সোজাসুজি জবাব দেন যে, ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের সঙ্গে বিরোধ হলেও, বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
মঙ্গলবারই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশ্বীনী কুমার দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফা পত্র জমা দেন। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীনই প্রবীণ নেতার ইস্তফায় কংগ্রেসের অন্দরে ফের একবার ফাটল চওড়া হয়েছে। একের পর এক কংগ্রেস নেতাকে দলীয় কর্মীদের ইস্তফা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
মঙ্গলবারও সচিন পাইলটকে কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব ও বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “যখনই কোনও যুব কংগ্রেস নেতা ইস্তফা দেন, তখনই আমায় প্রশ্ন করা হয় যে আমি কবে কংগ্রেস ছাড়ব ও বিজেপিতে যোগদান করব। আমি এই প্রশ্নের জবাব ১০০ বার দিয়েছি। যখনই কেউ কংগ্রেস ছাড়েন, বিশেষত আমার প্রজন্মের কেউ দল ছাড়লে, আমায় দল ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমায় প্রশ্ন করা হয় যে কেন বাকিরা দল ছাড়ছে। সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার কথা তাদেরই, কেন তারা দল ছাড়ছেন, দলের সঙ্গে তাদের সমস্যা কোথায়, এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছেই রয়েছে। যখন কারোর সঙ্গে ১০-১৫ বছর ধরে কাজ করেন, তখন তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরেও সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। তবে তারা যদি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে সেটা একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। তারা কী করবেন বা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা তার উপরই নির্ভর করছে।”
২০২০ সালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে সচিন পাইলটের। সেই সময় ক্ষমতায় বদলের দাবি করে ২৫ জন বিধায়ককে নিয়ে দিল্লিতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও কথাবার্তা হয়েছে সচিন পাইলটের। যদিও মঙ্গলবার এই ঘটনা অস্বীকার করে সচিন বলেন,”দলের সঙ্গে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গেই কথা হয়নি। আমরা কেবল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং দলের তরফেও কমিটি তৈরি করে এই সমস্যাগুলি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করা হয়।”
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা তিনি কখনও ভাবেননি বলেই দাবি করেন পাইলট। তিনি বলেন, “দলের দায়িত্ব সামলানো নিয়ে বলতে পারি যে বিগত ২০ বছরে দলের তরফে আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সে দিল্লিই হোক বা জয়পুর, কিংবা বিধানসভা বা লোকসভা হোক, দল বা সরকারের সমস্ত দায়িত্বই পালন করেছি।”
আরও পড়ুন: Karnataka Hijab Row: কলেজ খুলতেই ফের বিতর্ক, হিজাব পরায় ফেরানো হল ৩০ পড়ুয়াকে