গুয়াহাটি: সামনেই নির্বাচন, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আগেভাগেই অসম সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে বিরোধীদের কর্মসূচির প্রস্তুতিও সারা। বৃহস্পতিবার অসমের কংগ্রেস (Congress) সভাপতি রিপুন বেরা একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, দলের তরফে ২৪টি প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য। সেখানে নাগরিকত্ব আইন থেকে শুরু করে রাজ্যের উন্নয়ন, যাবতীয় বিষয়েই প্রশ্ন রয়েছে।
আগামি ২৩ জানুয়ারি অসমে একদিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরের দিন অর্থাৎ ২৪ তারিখ রাজ্যে পৌঁছবেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কর্মসূচি সম্পর্কে কিছু জানানো না হলেও ২৩ তারিখ অসমের শিবসাগরে একটি মিছিলে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই জানানো হয়েছে দলের তরফে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কংগ্রেস। গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে রিপুন বোরা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জোর করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চাপিয়ে দিয়ে অসমিয়াদের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে দিয়েছে।” তিনি প্রশ্ন করেন, “যখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই অসম চুক্তি উপেক্ষা করে গিয়েছেন, তখন তিনি কীভাবে নিজেকে শুভাকাঙ্খী বলে দাবি করেন?”
Addressed a PC at @INCAssam headquarter Rajiv Bhawan raising 24 questions to Prime Minister @narendramodi on his visit to #Assam on 23rd January on depriving Assam in all fronts and endangering the Culture, Heritage, Language, Existence and Social fabric of Assam. pic.twitter.com/VZYbHuqfF5
— Ripun Bora (@ripunbora) January 21, 2021
আরও পড়ুন: সাহস জোগাতে এ বার প্রধানমন্ত্রী, নিজের কেন্দ্রে টিকা দাতা ও গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলবেন
তিনি আরও বলেন, “২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে রাজ্যে একজনও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী থাকবে না। এখনও অবধি কতজন বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠিয়েছেন মোদীজী? আমাদের উপর জোর করে সিএএ (CAA) চাপিয়ে আরও বাংলাদেশীকে রাজ্যে আনার কী প্রয়োজন ছিল এদের (বিজেপি)?”
সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) রাজ্য সফরে গিয়ে বলেছিলেন, মোরান, মোটকম ছুটিয়া, তাই-অহম সহ ছয়টি গোষ্ঠীকে উপজাতি বলে ঘোষণা করা হবে। সেই প্রসঙ্গে টেনেও কংগ্রেস সভাপতি প্রশ্ন করেন, এখনও কেন সেই ঘোষণা করা হল না। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্ব শিল্প ও বিনিয়োগ উন্নয়ন নীতি বিলুপ্ত করে দেন। এরফলে অসমের শিল্প উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী বন্যা মোকাবিলায় একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, তাও আজ পর্যন্ত বাস্তবে রূপান্তরিত হয়নি।”
অন্যদিকে, অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (All Assam Student Union) তরফেও ঘোষণা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সফরের দিন পড়ুয়ারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসার আগেই, ২২ জানুয়ারি তাঁরা একটি মশাল মিছিল করবেন এবং সফরের দিন মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করবেন। ২৪ জানুয়ারি দিনটি তাঁরা কালা দিবস হিসাবে পালন করবেন।
আরও পড়ুন: বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা, ধ্বংসস্তূপের তলায় তখন চাপা পড়ে কাতরাচ্ছেন ওঁরা!