রাজনৈতিক নেতাদের কোচবিহার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের, রবিবারই যাওয়ার কথা ছিল মমতার

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Apr 10, 2021 | 9:44 PM

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কোচবিহারে ঢুকতে পারবেন না। অর্থাৎ, আগামী তিনদিনের জন্য পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে এই জেলায় রাজনৈতিক প্রবেশ। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন বলে খবর। 

রাজনৈতিক নেতাদের কোচবিহার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের, রবিবারই যাওয়ার কথা ছিল মমতার
ভবানীপুরে ভোট ঘোষণার পরও পুজো কমিটিকে অনুদান কী ভাবে? রাজ্যের জবাব চাইল কমিশন

Follow Us

কলকাতা: আগামিকাল, অর্থাৎ রবিবার শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীর গুলি লেগে যাদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে এ দিন নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কোচবিহারে ঢুকতে পারবেন না। অর্থাৎ আগামী তিনদিনের জন্য পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন বলে খবর। ফলে রবিবার ভোট না থাকলেও ফের একবার রাজ্যের রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শীতলকুচির মাথাভাঙা এলাকায় গুলি চালানোর জেরে শুক্রবার মৃত্যু হয় চারজনের। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত সাফাই দিয়ে তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। অশান্তির ছবিকে সঙ্গী করে চতুর্থ দফার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়ে দেন, সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে এবং আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই কমিশন একটি নতুন নির্দেশিকায় আরও জানিয়েছে, কোনও কেন্দ্রে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে এবার প্রচার বন্ধ করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। আগে ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত প্রচার করা যেত।

অন্যদিকে, কোচবিহারের দু’টি পৃথক ঘটনায় ৫ মৃত্যু বাদে রাজ্যের বাকি অংশে নির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন। ভোট চতুর্থীর দিন মোট ২৩৭১ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অন্যদিকে, শীতলকুচিতে সকাল ৮ টায় প্রথম যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে তাতে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। দুই ঘটনার প্রেক্ষিতেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। শীতলকুচির যে ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনী গুলি চালিয়েছিল সেখানে আপাতত ভোটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী, যেখানে গুলি চলে সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত হয়। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।

আরও পড়ুন: ‘প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যেই পরিষ্কার ক্ষমতায় আসছে কারা’, আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে বিজেপির

অন্যদিকে, গোটা ঘটনায় যে রিপোর্ট কমিশনে জমা পড়েছে, সেখানে বলা হয়েছে যে সিআইএসএফ গ্রামের এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিল। কিন্তু, গ্রামের মানুষ ভুল বুঝে তাদের আক্রমণ করেন। মহিলারা আক্রমণ করেন। আঘাত করা হয় জওয়ানদের। এরপর কুইক রেসপন্স টিমকে ডেকে পাঠানো হলে তাদের উপরও আক্রমণ নেমে আসে। সেই কারণেই আত্মরক্ষার জন্য গুলি হয়।

আরও পড়ুন: গৃহবন্দি করা হোক মমতাকে, দাবি দিলীপের

Next Article