নয়া দিল্লি : ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয় পড়ুয়া। তাঁদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে যাতে কোনও খামতি না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার রাতেই তিনি জরুরি বৈঠকে বসছেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবার কেন্দ্রের তরফে জানোনো হয়েছে মূলত ইউক্রেনের সামি শহর থেকে ৭০০ পড়ুয়াকে উদ্ধার করাই আপাতত কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য। ওই শহরে রাশিয়া বোমা ফেলছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরই ওই শহরে আটকে থাকা পড়ুয়াদের সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
এ দিনই টুইটে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, সামি শহরে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। রাশিয়া ও ইউক্রেন সরকারকে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে পড়ুয়াদের নিরাপদে বের করে আনার কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ছাত্রদের নিরাপদ স্থানে থেকে অযথা ঝুঁকি না নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারই জ়াপোরঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নেয় রাশিয়ার বাহিনী। এরপরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বৈঠকে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছেন, পরমাণু কেন্দ্রে কোনও প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর ইউক্রেনে উদ্ধারকাজ বা ‘অপারেশন গঙ্গা’-র আওতায় তিন হাজার ভারতীয়কে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১৫ টি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্য ১২ টি যাত্রীবাহী বিমান ও ৩ বায়ুসেনা বিমান ছিল বলেই জানা গিয়েছে। তবে এখনও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে মোট ১৩ হাজার ৭০০ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখ থেকেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্র। এখনও অবধি ৫৫ টি যাত্রীবাহী বিমানে মোট ১১ হাজার ৭২৮ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে ২ হাজার ৫৬ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।