Russia-Ukraine Conflict: প্রাণ বাঁচাতে পড়াশোনা অসম্পূর্ণ, ডাক্তারি পরীক্ষাদের দিকে সাহায্যের হাত কেন্দ্রের, মিলবে বিশেষ সুযোগ
Russia-Ukraine Conflict: তবে ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য বেশ কিছু নিয়মের কথা জানিয়েছেন, ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন। যে সব ছাত্রদের কাছে পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশন সার্টিফিকেট ও ভিসা থাকলে তবেই এই সুযোগ মিলবে।
নয়া দিল্লি: ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে বিধ্বস্ত অবস্থা ইউরোপের এই ছোট দেশের। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভারত থেকে শয়ে শয়ে পড়ুয়া সেদেশে গিয়েছিল। তবে রাশিয়ান আক্রমণের কারণে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই দেশে ফিরে এসেছেন। এখনও অনেকেই ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার। কিন্তু দেশে ফিরে আসা মেডিক্যাল পড়ুয়ারা তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কতদিন ধরে চলবে তার কোনও ঠিক নেই, তাই অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়া পড়াশুনা শেষ না করলে ভবিষ্যতে তার কী পরিণতি হবে সেই নিয়েই আতঙ্কে ছিলেন পড়ুয়ারা। এবার তাদের পাশে দাঁড়াতেই এগিয়ে এল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন সবরকমভাবে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশে প্রায় ২৪ হাজার ছাত্র ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন। তাদের অনেকেই ৬ বছরের পড়াশুনা অসম্পূর্ণ রেখে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। কমিশন জানিয়েছে, ভারতে তাদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি যাঁরা ইউক্রেন থেকে কোর্স অসম্পূর্ণ রেখে দেশে ফিরে এসেছেন, তারা ফরেন মেডিক্যাল এক্সামিনেশনের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে তাদের কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারবেন। এই পরীক্ষার পোশাকি নাম এফএমজিই। স্নাতকস্তরের এই পরীক্ষা পাশের পরই তাঁরা দেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।
তবে ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য বেশ কিছু নিয়মের কথা জানিয়েছেন, ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন। যে সব ছাত্রদের কাছে পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশন সার্টিফিকেট ও ভিসা থাকলে তবেই এই সুযোগ মিলবে। শুধুমাত্র ইউক্রেন নয় বিশ্বের যে কোনও দেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের এই পরীক্ষায় বসে উত্তীর্ণ হয়ে ইন্টার্নশিপের সুযোগ মিলবে। কমিশন জানিয়েছে, ইন্টার্নশিপের জন্য তাদের কোনও অর্থ দিতে হবে না। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কারণ প্রাণভয়ে দেশে ফিরে আসা পড়ুয়াদের অনেকেই নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। টিভি৯ বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় অনেকেই তাদের এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা মিটল। কেন্দ্র তাদের জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ করবে, তারা এটা ভাবতেই পারেননি।