লখনউ: টাকাই কি সব? যে চিকিৎসকদের দেবতার পরবর্তী স্থানে বসানো হয়, সামান্য টাকার জন্য তাদের অমানবিক আচরণ। আর এই অমানবিক আচরণের মাশুল গুনতে হল ছোট্ট মেয়েকে, তাঁর প্রাণ দিতে। অভিযোগ, হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঠিক করে দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্সে না যাওয়ায়, অসুস্থ রোগীর মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেন এক চিকিৎসক। এরপরই শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় কিশোরীর।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। গুরুতর অসুস্থ এক কিশোরীকে একটি বেসরকরি হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন। হাসপাতাল থেকেই একটি অ্যাম্বুল্যাস ডেকে দেওয়া হয়, কিন্তু ওই অ্যাম্বুল্যান্স ৬ হাজার টাকা হেঁকে বসে। এরইমধ্যে পরিবারের সদস্যরা অন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন, যে কম টাকায় নিয়ে যেতে রাজি হয়েছিল।
পরিবারের অভিযোগ, অন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এ কথা শুনেই হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এসে হম্বিতম্বি করতে শুরু করেন। কিশোরীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন আবার চিকিৎসকরা সিপিআর দিতে শুরু করেন। কিন্তু কিশোরীর মুখ থেকে রক্ত বের হতে থাকে এবং মারা যায়।
নিহত কিশোরীর পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই অবহেলা ও উদাসীনতার অভিযোগ এনেছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালের বাইরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।