আহমেদাবাদ: রাস্তাঘাটে ট্রাফিক আইন ভাঙলেই ধরে পুলিশ। কিন্তু চালানের থেকে ১০০-২০০ টাকা দিয়ে বিষয়টা মিটমাট করে নিতেই অভ্যস্ত অধিকাংশ। সরকারি দফতরে ফাইলে সই হোক বা টেন্ডার পাস করানো, ঘুষ দেওয়া-নেওয়াটাই “নিউ নর্মাল” হয়ে উঠেছে অনেকের কাছে। কিন্তু ঘুষ চাইলেই তো হল না, যার কাছে ঘুষ চাওয়া হচ্ছে, তার পকেটেও তো টাকা থাকতে হবে। সাধারণ মানুষের এই সমস্যার সমাধান করতেই এবার ‘জনদরদী’ রীতি নিল ঘুষখোর সরকারি কর্তারা। ঘুষেও চালু করা হল ইএমআই অপশন।
জানা গিয়েছে, গুজরাটের সরকারি আধিকারিকরা জনগণের সুবিধার্থে ইএমআই অপশন চালু করেছেন। কোনও কাজ করানোর জন্য যদি ঘুষ দিতে হয়, তবে চাইলেই সাধারণ মানুষ ইএমআই-তে ঘুষ দিতে পারেন। একবারে থোক টাকা দেওয়ার বদলে, মাসে মাসে সরকারি আধিকারিকদের টেবিলে পৌঁছে দিতে হবে ঘুষের টাকা।
সরকারি কর্তারা নাকি ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই ঘুষের ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে যাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই, তাদেরও ঘুষের টাকা দিতে সমস্যা হবে না। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে যে এক ব্যক্তি এসজিএসটি ভুয়ো বিলিং দুর্নীতিতে ধরা পড়লে, তাঁর থেকে ২১ লক্ষ টাকা ঘুষ চান সরকারি আধিকারিকরা। তিনি এত টাকা দিতে পারবেন না, এই কথা জানালে ২ লক্ষ টাকা করে ৯ মাসের ইএমআই-র অপশন দেওয়া হয় তাঁকে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটেও এক পুলিশ আধিকারিক ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন, চার ধাপে ইএমআই-তে।
গুজরাটের অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে এই অভ্যাস ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে।