নয়া দিল্লি: মলদ্বীপ থেকে সেনাকে সরিয়ে নেবে ভারত? দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে এই প্রশ্ন বারংবার উঠে এসেছে। এবার সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মুখোমুখি হল দুই দেশ। শুক্রবার নয়া দিল্লিতে বৈঠকে বসে ভারত ও মলদ্বীপের প্রতিনিধি। ভারতের তরফে জানানো হয়, মিলিতভাবে সমস্যার সমাধান করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। উল্টোদিকে, মলদ্বীপের তরফে দাবি, আগামী মে মাসের মধ্যে মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
বরাবরই পড়শি দেশগুলির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। মলদ্বীপও তার ব্যতিক্রম নয়। তবুও সেই উপকারী দেশের সঙ্গেই কূটনৈতিক টানাপোড়েনে জড়িয়েছে মলদ্বীপ। চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ ও পর্যটন প্রচার ঘিরে রীতিমতো কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। মলদ্বীপের মন্ত্রীদের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও।
মুইজ্জু মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দিনই ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের কথা বলেছিলেন। সম্প্রতিই ফের ভারতকে বলা হয়, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে যেন মলদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শুক্রবার এই বিষয় নিয়েই আলোচনায় বসেছিল দুই দেশ।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, “বৈঠকে দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে মজবুত করতে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই ভারতীয় বিমান প্ল্যাটফর্ম, যা মলদ্বীপকে মানবিক ও চিকিৎসা পরিষেবা দেয়, তা নিয়ে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে রাজি হয়েছে।”
অন্যদিকে, মলদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে উল্টো কথা বলা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “দুই পক্ষই সহমত হয়েছে যে আগামী ১০ মে-র মধ্যে ভারত সরকার তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে। ১০ মার্চের মধ্যে প্রথম ধাপের সেনা প্রত্যাহার করা হবে।”
প্রসঙ্গত, মলদ্বীপে ভারতের ৮০ জন সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন, যারা ভারতেরই উপহার দেওয়া তিনটি বিমান চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এই জওয়ানদের নিয়েই আপত্তি মলদ্বীপের।