শ্রীনগর: সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২৩ অগস্ট) সকালে পুঞ্চ সেক্টর থেকে গ্রেফতার করা হল জাহের হুসেন শাহ নামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক বাসিন্দাকে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর গাইড হিসেবে কাজ করত। তাদের কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা তিনিয়ে দিত। এর আগে বৃহস্পতিবার, পীর পঞ্জলের দক্ষিণে বিশেষ বাহিনীকে ফের মোতায়েন করেছিল নিরাপত্তা বাহিনি। সম্প্রতি, নতুন করে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে জাগিয়ে তুলতে সন্ত্রাসবাদের নয়া নকশা তৈরি করেছে পাকিস্তান সেনা। গত এক-দেড় মাসে জম্মুর একের পর এক জেলায় জঙ্গি হামলা হয়েছে। পাক বাহিনীর এই পরিকল্পনাকে বানচাল করে দিতেই পীর পঞ্জলের দক্ষিণে পাঠানো হয়েছে বিশেষ বাহিনীকে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার মদতপুষ্ট জঙ্গিদের মোকাবিলায়, ১০টি ব্যাটেলিয়ন এবং স্পেশাল ফোর্সের ৫০০ সদস্যকে পীর পঞ্জলের দক্ষিণে পাঠিয়েছে ভারতীয় সেনা এবং অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী। নয়া কৌশল হিসবে পীর পঞ্জলের দক্ষিণের দুর্গম এলাকায় পাহাড়ের গুহায় এবং দঙ্গলের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি গাড়ছে সন্ত্রাসবাদীরা। মাটির তলায় সুড়ঙ্গ খুঁড়েও লুকিয়ে থাকছে তারা। এই অবস্থায়, এখন এই সকল গোপন ঘাঁটি খুঁজে সেগুলি ধ্বংস করার জন্য অতিসক্রিয় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাঁটিগুলি খুঁজে সেখানেই জঙ্গিদের নির্মূল করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে নীচে নেমে বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা চালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলে গোয়েন্দাদের জালও জোরদার করা হচ্ছে। নতুন পুলিশ কর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় শক্তি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় পুলিশও। অতীতে এই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। তাই সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিও ছিল যৎসামান্য। এরই সুযোগ নিয়ে, গত এক-দেড় মস ধরে একের পর এক হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের হামলায় এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন সেনা ও পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রেহাই পাননি সাধারণ মানুষও। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকেই নিশানা করতে দেখা গিয়েছে জঙ্গিদের। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, জনমানসে আতঙ্ক তৈরি করা।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)