কলকাতা: দিন যত যাচ্ছে ততই ধারেভারে আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় সেনা। কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে চিন-পাকিস্তানের। ভাণ্ডার ভরছে নিত্যনতুন সব মিসাইলে। বর্তমানে বড়সড় চর্চা চলছে নতুন দুই সমরাস্ত্র নিয়ে। চর্চা পিনাক নিয়ে। সম্প্রতি এই মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চারের নিয়ে রীচিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে সেনা মহলে। যা কিনা মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে পরপর ১২টা রকেট ছুঁড়তে পারে। শোনা গিয়েছিল ফ্রান্স ভারত থেকে পিনাক কিনতে চায়। এরইমধ্যে এবার একসঙ্গে একাধিক টার্গেটে পরপর ছোঁড়ার সময়ে এই সিস্টেম কতটা কার্যকর, সেটার পরীক্ষা করল সেনা। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রেও, ranging, accuracy, consistency and rate of fire, এই চারটে মাপকাঠিতে সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে পিনাক।
সূত্রের খবর, তিনটে আলাদা আলাদা জায়গায় পরীক্ষা হয়েছে। কোথায় পরীক্ষা, কী ধরনের টার্গেট সেট করা হয়, এসব যদিও জানা যায়নি। কারণ, এগুলি ডিফেন্সের টপ সিক্রেট ম্যাটার। সফল পরীক্ষার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেনা ও ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ডিফেন্স মিনিস্টারের মেসেজ মানে বুঝতেই পারছেন ব্যাপারটা স্পেশাল। এবার ফ্রান্সের আগ্রহ হয়তো আরও বাড়বে। অন্যদিকে ‘প্রচণ্ড’ প্রচন্ড চর্চা চলছে। প্রচণ্ড হল হ্যালের তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার। যে কিনা আকাশে শত্রুর হেলিকপ্টার, ড্রোন ও মাটিতে ব্যাটল ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে পারে। এই কপ্টারের সাহায্যে উদ্ধারের কাজ ও নজরদারিও চালানো যায়। বর্তমানে আর্মির গজরাজ কোর প্রচণ্ড থেকে হাই-অলটিটিউ ফায়ারিংয়ের সফল পরীক্ষা করল।
দেখা গিয়েছে একদম রিয়েল কমব্যাট সিচুয়েশনে অধিক উচ্চতায় এই হেলিকপ্টার, কম উচ্চতার মতোই সমান কার্যকরী। টার্গেটকে উড়িয়ে দিতে একইরকমের নিখুঁত। ফলে, লাদাখের মতো অতি উচ্চতায় চিন সীমান্তে প্রচণ্ড মোতায়েনে আর কোনও দ্বিধা রইল না। এই সামরিক হেলিকপ্টার নিয়ে এই মুহূর্তে সরকার ও ভারতীয় সেনার একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।