শ্রীনগর: রাত পোহালেই হরিয়ানার সঙ্গে সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরেরও ভোট গণনা হবে। ঠিক তার আগে, সোমবার (৭ অক্টোবর), মেহবুবা মুফতির পিডিপি দলের সঙ্গে জোট বাঁধার বার্তা দিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সভাপতি, ফারুক আবদুল্লাহ। এমনিতে উপত্যকার রাজনীতিতে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই পরিচিত। তবে, এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। দুই দলই বিজেপিকেই প্রধান প্রতিপক্ষ বলে মনে করছে। এই অবস্থায় এদিন ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, যদি প্রয়োজন নাও পড়ে, তাহলেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকার গঠনের জন্য মেহবুবা মুফতির দলের সমর্থন নিতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
পিডিপি-র সঙ্গে জোট বাঁধা প্রসঙ্গে ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, “কেন নয়? এটা কী এমন ব্যাপার? যদি আমরা সবাই একই লক্ষ্যে কাজ করি, রাজ্যের মানুষের অবস্থার উন্নতির জন্য, বেকারত্ব দূর করার জন্য, গত ১০ বছরে যে সমস্ত দুর্দশা দেখা দিয়েছে তা দূর করার জন্য। সবার প্রথমে আমাদের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে হবে। কোনটা সত্যি, কোনটা নয়, তা বলার অধিকার থাকা উচিত আমাদের। আমরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি তবে আমার কোন আপত্তি নেই (পিডিপির সঙ্গে জোট বাঁধতে)। আমি নিশ্চিত, কংগ্রেসেরও কোনও আপত্তি থাকবে না।”
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার যে পাঁচটি সংরক্ষিত আসন রয়েছে, সেগুলির সদস্য মনোনীত করার ক্ষমতা জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দিতে পারে কেন্দ্র। এই নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে, এদিন এই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন ন্যশনাল কনফারেন্স প্রধান। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রর বিজেপি সরকার যদি এই পদক্ষেপ করতে যায়, তাহলে তাঁরা এর বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার থেকেও, তাঁর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া। তাহলেই, নতুন সরকারের হাতে জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা আসবে। নাহলে, জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারের কাজ করার কোনও ক্ষমতাই থাকবে না বলে জানান তিনি।