Maharashtra Power Crisis: নেই কয়লার জোগান, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না এই রাজ্যে!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Apr 12, 2022 | 8:13 AM

Maharashtra Power Crisis: মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতেই পরিকল্পিতভাবে এই লোডশেডিং করা হবে। গ্রাম ও শহর-উভয় জায়গাতেই কারেন্ট অফ করে দেওয়া হবে।

Maharashtra Power Crisis: নেই কয়লার জোগান, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না এই রাজ্যে!
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

মুম্বই: অন্ধকারে ডুবতে বসেছে বাণিজ্যনগরী। প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের জোগান দিতে না পারায় মুম্বই সহ গোটা মহারাষ্ট্রেই  (Maharashtra) চরম বিদ্যুৎ সঙ্কট (Power Crisis) দেখা দিয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল মহারাষ্ট্র সরকার। সোমবারই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ২৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় এবার থেকে প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাওয়ার কাট বা লোডশেডিং (Load Shedding) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতেই পরিকল্পিতভাবে এই লোডশেডিং করা হবে। গ্রাম ও শহর-উভয় জায়গাতেই কারেন্ট অফ করে দেওয়া হবে। ক্রমাগত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় এবং কয়লার অভাব দেখা দেওয়ায় রাজ্যে ২৫০০ থেকে ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই অভাব পূরণ করতেই মহারাষ্ট্র ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের গাইডলাইন মেনে এমএসইডিসিএল লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কত ঘণ্টা ধরে কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে, সেই সম্পর্কে জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগেও মুম্বই সহ গোটা রাজ্যেই ব্যাপক বিদ্যুতের সমস্যা ছিল। বাণিজ্যনগরীর একটি বড় অংশই এমএসইডিসিএল-র অধীনে না পড়ায়, ওই অংশগুলি নিত্যদিন লোডশেডিংয়ের সমস্যা থেকে রেহাই পেলেও, বাকি গোটা রাজ্যেই এই সমস্যা ছিল।

এমএসইডিসিএল-র বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে, যা গতবছরের তুলনায় ৪০০০ মেগাওয়াট বেশি।  এমএসইডিসিএল ৩৭৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জোগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬২ শতাংশই কয়লা ব্যবহৃত থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকেই উৎপাদন হয়। কিন্তু দেশজুড়েই কয়লার সঙ্কট দেখা দেওয়ায়, থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাও কমেছে। শুধুমাত্র কয়লাকেন্দ্র থেকেই ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

Next Article