চণ্ডীগঢ়: গুলিবিদ্ধ হওয়ার ১২ দিন পর অবশেষে মিলল দেহ। শনিবার সকালে হরিয়ানার তোহনা এলাকায় ভাকরা খাল থেকে মডেল দিব্যা পাহুজার পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি গুরুগ্রামের একটি হোটেলে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। দিব্যার পরিবারের সদস্যরা তাঁর দেহটি নিশ্চিত করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গুরুগ্রাম পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ জানুয়ারি গুরুগ্রামের একটি হোটেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন দিব্যা পাহুজা। তারপর তাঁর দেহ লোপাট করার চেষ্টা হয়। গুরুগ্রাম পুলিশের ৬টি দল তদন্তে নামে। পঞ্জব পুলিশ ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)-র ২৫ সদস্যের দল দিব্যার দেহের খোঁজে নামে। ১১ দিন পর অবশেষে দেহ মিলল। গুরুগ্রামের পুলিশ আধিকারিক মুকরেশ কুমার বলেন, দেহে ট্যাটু দেখে দিব্যা পাহুজাকে শনাক্ত করা হয়েছে।
মামলার মোড় ঘুরেছে বলরাজ গিল নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতারের পর। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তিনি গ্রেফতার হন। তারপর তাঁকে জেরা করেই দিব্যার দেহের হদিশ মেলে। বলরাজকেই দিব্যার দেহ লোপাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ। তারপর জেরার মুখে বলরাজ জানায়, ১ জানুয়ারি গুরুগ্রামের হোটেলে দিব্যাকে খুন করার পর সেখান থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জাবের পাটিয়ালার একটি খালে দিব্যার দেহ ফেলে এসেছেন। এরপর সেখানে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় দেহ। হোলের সিসিটিভি ফুটেজেও দিব্যার দেহ টেনে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে তোলার ছবি মিলেছে।
পুলিশ জানায়, ২৭ বছর বয়সি মডেল দিব্যা পাহুজাকে ৫ ব্যক্তি মিলে গুরুগ্রামের হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মাথায় গুলি করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে দিল্লির ব্যবসায়ী অভিজিৎ সিংয়ের বিরুদ্ধে। অভিজিৎ-সহ ৩ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গুরুগ্রামের গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলি খুনের মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন দিব্যা পাহুজা। ২০১৬ সালে সন্দীপের সঙ্গে মুম্বই গিয়েছিলেন দিব্যা। সেখানেই ভুয়ো এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সন্দীপের। সেই ঘটনায় জেলেও যেতে হয়েছিল দিব্যাকে। গত বছরই তিনি জামিন পান।