নয়া দিল্লি : করোনা অতিমারির শুরু থেকেই তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দিয়েছে। আতঙ্কের মেঘ যখন একটু একটু করে কাটতে শুরু করেছিল, তখন আবার পুরনো ছন্দে ফিরে যাওয়ার কথাই ভাবছিল সংস্থাগুলি। কিন্তু এরই মধ্যে ভারতে এসে পড়েছে ওমিক্রন। ক্রমশ বাড়তে বাড়তে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থার পরিকল্পনায় আবার বদল আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সব সংস্থাই কর্মীদের অফিসে ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে।
২০২২-এর জানুয়ারিতেই কর্মীদের অফিসে ফেরানোর কথা ভেবেছিল একাধিক সংস্থা। কিন্তু ওমিক্রন যে ভাবে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, তা চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের। ওমিক্রনের জেরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরও একবার বাধার মুখে পড়তে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
টিসিএস (Tata Consultancy Services)
টিসিএস দেশের সবথেকে বড় আইটি সংস্থা। ওই সংস্থার মাত্র ১০ শতাংশ কর্মী বর্তমানে অফিসে গিয়ে কাজ করছেন। কর্মীদের অফিসে ফেরানো হলেও তা ক্রমাণ্বয়ে হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইনফোসিস (Infosys)
ইনফোসিসেরও বেশির ভাগ কর্মী কাজ করেন ওয়ার্ক ফ্রম হোমে। সংস্থার বেঙ্গালুরু অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করা হবে। দেশের করোনা পরিস্থিতিতে যে বদল আসছে, সে কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এইচসিএল টেকনোলজি (HCL Technologies)
এখনই কর্মীদের অফিসে ফেরাতে চায় না এইচসিএল টেকনোলজি। নয়ডার সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ওমিক্রনের দিকে আপাতত নজর রাখছে তারা। বাড়ি থেকে কাজ করানোর ওপর জোর দিচ্ছে এই সংস্থা।
তবে আগে সংস্থাগুলির পরিকল্পনা ছিল আলাদা। গত অক্টোবরেই তারা জানিয়েছিল, আগামী বছর থেকে অফিসে কাজের রীতি ফের চালু হবে। কিন্তু, পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই পরিকল্পনায় বদল আনা হচ্ছে। এ ছাড়া নভেম্বরে, ন্যাসকমের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ২০২২-এর দেশের মোট তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মীদের অন্তত ৫০ শতাংশ অফিসে গিয়ে কাজ করবে। অন্তত সপ্তাহে তিন দিন করে অফিসে গিয়ে কাজ করবে তারা।
ইনফোসিস সংংস্থার এইচ আর বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড লোবো জানিয়েছেন, অফিসে আসা আপাতত ঐচ্ছিক বিষয়। ম্যানেজারদের সেই বিষয়টা দেখার কথা বলা হয়েছে। কাউকে অফিসে আসতে জোর করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : Corona Update in India: দেড় বছরে সর্বনিম্ন সংক্রমণ ভারতে, তবে ওমিক্রনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী