নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরে পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার পেল কলকাতা। শুধু কলকাতাই নয়, একই ধরনের সুপার কম্পিউটার পেল পুণে এবং দিল্লিও। জাতীয় সুপারকম্পিউটিং মিশনের আওতায় ১৩০ কোটি টাকা খরচে এই তিনটি সুপার কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর), এই তিনটি সুপার কম্পিউটার উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই উন্নত কম্পিউটিং ব্যবস্থাগুলি। কলকাতার এসএন বোস সেন্টারে পরম রুদ্র কম্পিউটার ব্যবহার করে পদার্থবিদ্যা, সৃষ্টিতত্ত্ব এবং পৃথ্বী বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা চালানো হবে। এছাড়া, পুনের ‘দ্য জায়ান্ট মিটার রেডিও টেলিস্কোপ এবং দিল্লির ইন্টার-ইউনিভার্সিটি এক্সিলারেটরও বিভিন্ন উন্নত মানের গবেষণার কাজে এই কম্পিউটার ব্যবহার করবে।
A boost to tech related innovations!
At around 5:30 PM this evening, via video conferencing, I will be inaugurating 3 Param Rudra Super Computing Systems and a High Performance Computing System for weather and climate. Will specially urge my young friends to join…
— Narendra Modi (@narendramodi) September 26, 2024
এদিন এই সুপার কম্পিউচারগুলি লঞ্চ করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং গবেষণার ক্ষেত্রে এটা ভারতের জন্য এক উল্লেখযোগ্য দিন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর জোর দিচ্ছে ভারত। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীরা সফলভাবে তিনটি পরম রুদ্র সুপারকম্পিউটার তৈরি করেছেন। এখন কলকাতা, দিল্লি এবং পুনেতে এগুলিকে মোতায়েন করা হয়েছে। আমি এই কৃতিত্বের জন্য সমস্ত ভারতীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং এটি ভারতের যুবদের উৎসর্গ করছি। তারা দেশীয় কম্পিউটিং প্রযুক্তির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”
On Wednesday, computing capability made a significant leap with the commissioning of the PARAM Rudra Supercomputer at the S. N. Bose National Centre for Basic Sciences (SNBNCBS).https://t.co/TH2IEWUkf5@PMOIndia @IndiaDST @DrJitendraSingh @karandi65 pic.twitter.com/rDncWJjizX
— S.N. Bose National Centre for Basic Sciences (@snbkol) September 26, 2024
পরম রুদ্র সিস্টেমগুলি অত্যাধুনিক হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার দিয়ে সজ্জিত, এবং বেশিরভাগ উপাদানই ভারতেই তৈরি করা হয়েছে এবং একত্রিত করা হয়েছে। হাই-স্পিড কম্পিউটেশন এবং সিমুলেশনের জন্য নকশা করা হয়েছে এই সুপারকম্পিউটারগুলি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, জলবায়ুর মডেল তৈরি, রাসায়নিক আবিষ্কার, পদার্থ বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় সহায়তা করবে এগুলি বলে আশা করা হচ্ছে। গবেষকদের অনেক জটিল সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করবে। জাতীয় সুপারকম্পিউটিং অভিযানের আওতায় এই সুপারকম্পিউটারগুলি তৈরি করা হয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য দেশের কম্পিউটিং পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা। ছাত্র, গবেষক, এমএসএমই এবং স্টার্ট-আপদের কম্পিউটিংয়ের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। সেই চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যেই এই অভিযান।