নয়া দিল্লি: আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থক ও পুলিসের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার টুইট করে তিনি বলেন, “এই হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া উচিত।”
বৃহস্পতিবার নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র পাবেন ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তারই আগে চূড়ান্ত বৈঠক চলছিল হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ (House of Representative) ও সেনেট(Senate)-র। সেই সময়ই কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক জোর করে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই নিমেষে রণক্ষেত্রের আকার নেয় ঘটনাস্থল। চলে গুলিও। ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার হাতবদলের আগে এমন নজিরবিহীন সংঘর্ষের ঘটনায় সমালোচনা করেছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সকালেই টুইট করে লেখেন, “ওয়াশিংটন ডিসি-র এই হিংসার ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া উচিত। বেআইনি প্রতিবাদের দ্বারা গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করা যায় না।”
Distressed to see news about rioting and violence in Washington DC. Orderly and peaceful transfer of power must continue. The democratic process cannot be allowed to be subverted through unlawful protests.
— Narendra Modi (@narendramodi) January 7, 2021
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই ঘটনার সমালোচনায় একটি বিবৃতি পেশ করে বলেন, “এই ঘটনায় যদি আমরা অবাক হই, তবে নিজেদেরই মিথ্যে বলা হবে। এখন রিপাবলিকানদের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে। হয় তাঁরা এভাবেই হিংসা চালিয়ে যাক, নয়তো নিজেদের হারের সত্যিটা স্বীকার করে নিক।”
Here’s my statement on today’s violence at the Capitol. pic.twitter.com/jLCKo2D1Ya
— Barack Obama (@BarackObama) January 7, 2021
আরও পড়ুন: হার মানতে নারাজ ট্রাম্প, ক্যাপিটলে চলল গুলি, রণক্ষেত্র আমেরিকা
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) টুইট করে বলেন, “আমেরিকার কংগ্রেসের ইতিহাসে এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা। সমগ্র বিশ্বের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের সপক্ষে বলেই পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া জরুরি।” প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ (George Bush)-ও এই ঘটনাকে হৃদয়বিদারক ও ঘৃণ্য বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী জ্যঁ ইভস লে ড্রিয়ান (Jean-Yves Le Drian) বলেন, “আমেরিকার এই হামলা আসলে গণতন্ত্রের উপর হামলা। এর নিন্দা করছি। আমেরিকার জনগণের ইচ্ছা ও তাঁদের ভোটকে সম্মান করা উচিত।”
নির্বাচনের ফলঘোষণার পর থেকেই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) ভোট চুরির অভিযোগ তুলেছিলেন। একাধিক স্টেটসে মামলা করলেও নির্বাচনের ফলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বুধবার তিনি একটি জনসভা থেকে হুমকি দেন। তারপরই এই হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবারের ঘটনার একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, একদল ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের জানলার কাঁচ ভাঙছে, জাতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলছে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যের অবসান! জার্মানির প্রত্যেক সংস্থার বোর্ডে থাকবে মহিলা নেতৃত্ব, আসছে বিল