হার মানতে নারাজ ট্রাম্প, ক্যাপিটলে চলল গুলি, রণক্ষেত্র আমেরিকা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিক্রিয়া, “ওয়াশিংটন ডিসির এই হামলা, হিংসা অত্য়ন্ত উদ্বেগের। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া উচিৎ। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে এভাবে আটকানো যায় না।”
ওয়াশিংটন: নভেম্বরেই হেরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু শেষবেলায় ট্রাম্প সমর্থকদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল আমেরিকা। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে চলল গুলি। ঝরল প্রাণ। বৃহস্পতিবার জয়ের শংসাপত্র হাতে পাবেন সে দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতেই বুধবার কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে ঢুকতে যায়। পুলিস বাধা দিলে তুলকালাম বেধে যায় তাদের সঙ্গে ট্রাম্প সমর্থকদের। এই ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিক্রিয়া, “ওয়াশিংটন ডিসির এই হামলা, হিংসা অত্য়ন্ত উদ্বেগের। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া উচিৎ। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে এভাবে আটকানো যায় না।”
I am asking for everyone at the U.S. Capitol to remain peaceful. No violence! Remember, WE are the Party of Law & Order – respect the Law and our great men and women in Blue. Thank you!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 6, 2021
#UPDATE | US lawmakers reconvene to certify Electoral College votes after the violence at the US Capitol in Washington DC. https://t.co/W1e3J1JkJf
— ANI (@ANI) January 7, 2021
বিক্ষোভকারী এক মহিলার গুলি লাগে। তবে কীভাবে এই মহিলার গুলি লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওয়াশিং ডিসির মেয়র ম্যুরিয়ল বাউজার বুধবার বিকেল ৬টা থেকে কারফিউ জারি করেন। অভিযোগ, বুধবারই একটি জনসভা থেকে ট্রাম্পের হুমকি ছিল, তাঁরা পিছু হঠবে না। একইসঙ্গে ট্রাম্প এদিন টুইটারে এমন একটি পোস্ট করেন যা প্ররোচনামূলক বলেই অভিযোগ। যদিও সেই টুইটটি টুইটার সরিয়ে দিয়েছে।
“Distressed to see news about rioting & violence in Washington DC. Orderly and peaceful transfer of power must continue. The democratic process cannot be allowed to be subverted through unlawful protests,” says Prime Minister Narendra Modi pic.twitter.com/BVlzOouFyo
— ANI (@ANI) January 7, 2021
ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশবাসীকে আইন মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, এটা কোনও প্রতিবাদ নয়। এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা উগ্রপন্থার পরিচয় দেয়। এটা একটা প্ররোচনা। আমেরিকার ৩০০ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি, যেখানে প্রেসিডেন্ট নিজের হার মানতে না পেরে দেশের সংসদে হামলা চালায়।