নয়া দিল্লি: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখেছিলেন খোদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ওই চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র ভাই মোদীজি বলে সম্বোধন করেন। একইসঙ্গে ১১ দিনের আচার অনুষ্ঠান পালন করার জন্য প্রশংসাও করেন। এবার রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকেই ফিরেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সামনে এসেছে সেই চিঠি। তাতে তিনি লিখেছেন, আমি আমার জীবনের সবচেয়ে অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে অযোধ্যাধাম থেকে ফিরে আপনাকে এই চিঠি লিখছি। আমিও মনে মনে অযোধ্যা নিয়ে ফিরেছি। এই অযোধ্যা যা আমার কাছ থেকে কখনও দূরে যেতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্রাপ্ত চিঠির জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, অযোধ্যা যাওয়ার একদিন আগে আপনার চিঠি পেয়েছি। আমি আপনার শুভ কামনার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমি যখন এই চিঠি পেয়েছি তখন একটি আধ্যাত্মিক যাত্রায় ছিলাম। আপনার চিঠি আমাকে শক্তি দিয়েছে। আমি তীর্থযাত্রী হিসাবে অযোধ্যাধামে ভ্রমণ করেছি। বিশ্বাস আর ইতিহাসের এমন সঙ্গম ঘটেছিল সেই পবিত্র ভূমিতে যে সেখানে যাওয়ার পর আমার মন পুরো আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিল।
চিঠিতে মোদী আরও লিখছেন, ভগবান শ্রী রামের চিন্তা আমাদের দরিদ্র কল্যাণের এ কাজগুলি এবং দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের প্রচারগুলির জন্য অবিরাম শক্তি দেয়। ভগবান শ্রী রাম তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সকলের সমর্থন, সকলের উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। এই মন্ত্রের ফল আজ সর্বত্র দৃশ্যমান। গত এক দশকে দেশ প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সফল হয়েছে। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে মহাসমারোহে হয়ে গিয়েছে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। খুলে গিয়েছে মন্দিরের দরজা। অনুষ্ঠানে প্রধান যজমান ছিলেন মোদীই। বালক রামের ঘরে ফেরায় দিনভর উৎসবের মেজাজে ছিল অযোধ্যা। অকাল দীপাবলিতে মেতে উঠেছিল গোটা দেশ।