চণ্ডীগঢ়: রাজ্যের নির্বাচন পালা মিটে যাওয়ার আগেই প্রশান্ত কিশোরের কাঁধে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনেও মুখ্য পরামর্শদাতার দায়িত্বভার চাপিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তবে নির্বাচনের আগেই গোষ্ঠী কোন্দলের পাশাপাশি বিশেষ মাথাব্যাথ্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পিকে-ই। তবে আসল নয়, নকল। প্রশান্ত কিশোরের নাম ভাঙিয়েই রাজ্যের বিধায়কদের টুপি পড়িয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতাচ্ছে এক গোষ্ঠী, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই লুধিয়ানা পুলিশের কাছে একদল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিরা প্রশান্ত কিশোরের নাম ভাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতাদের ফোন করছেন এবং তাঁদের প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে বলা হচ্ছে। নির্বাচনে টিকিট পাকা করে দেওয়ার নামে ভুয়ো সমীক্ষা ও মোটা অঙ্কের টাকাও আদায় করা হচ্ছে।
পঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত মাসেই এমন একটি দলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাঁরা লুধিয়ানা, ভাটিন্ডা, জলন্ধর, অমৃতসর ও সাঙ্গুরের কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকে পিকে-র নামে বোকা বানিয়ে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা আদায় করেছে। লুধিয়ানার গিলের বিধায়ক কুলদীপ সিং বৈদকে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করাতেই তিনি পুলিশে খবর দেন। তখনই দুই ব্যক্তিকে জলন্ধর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাকেশ কুমার বাসিন ও রজত কুমার রাজা নামক ওই দুই ব্যক্তিকে জেরা করে প্রধান চক্রী গৌরব শর্মার খোঁজ পাওয়া যায় ও তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, গৌরব টিভিতে প্রশান্ত কিশোরকে দেখেই তাঁর অনুসরণ করত। কেবল পঞ্জাবই নয়, বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানা, এমনকি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নেতাদেরও একই কায়দায় বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়েছেন।
অধিকাংশ নেতারাই মান-সম্মান ও ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ না জানানোয় রমরমিয়েই চলছিল ব্যবসা। তবে কুলদীপ সিংয়ের কাছে সমীক্ষার রিপোর্টে দারুণ ফলাফল দেখানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা চাইতেই তাঁর সন্দেহ হয়। এরপর জানা যায়, সাঙ্গুরের ২০১৭ সালের কংগ্রেস প্রার্থী দমন ঠিন্ড বাজওয়ার কাছেও ৭ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল।
তবে এ বিষয়ে পঞ্জাবের শীর্ষ নেতারা মুখ খুলতে নারাজ। পিকে-র সংস্থাও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
আরও পড়ুন: ঘনিষ্টদের ক্যাবিনেটে স্থান নয়, ভিন্ন দাবি নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন ‘বিক্ষুব্ধ’ পাইলট?