Red Fort Blast: পরিচয় দিয়েছিল ডাক্তার, শুধু রাতেই আসত মুজাম্মিল! ধাউজ গ্রামের এই বাড়িতেই যা যা পাওয়া গেল…

Delhi Blast Update: তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই এই বাড়িটিকে সিল করে দিয়েছে। তাদের মতে, এই বাড়িতে বসেই উমর এবং মুজাম্মিল যাবতীয় পরিকল্পনা ছকে ছিল। উমর দিনের পর দিন মুজাম্মিলের সঙ্গে এই বাড়িতে পড়ে থাকত। আল-ফাল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বাড়ির দূরত্ব মেরে কেটে দশ মিনিট।

Red Fort Blast: পরিচয় দিয়েছিল ডাক্তার, শুধু রাতেই আসত মুজাম্মিল! ধাউজ গ্রামের এই বাড়িতেই যা যা পাওয়া গেল...
হামলার অন্যতম চক্রী ডঃ মুজাম্মিল।Image Credit source: TV9 বাংলা

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 12, 2025 | 12:46 PM

নয়া দিল্লি: ফরিদাবাদের ধাউজ গ্রাম। এই বিশালাকার বাড়ি থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল দিল্লির বিস্ফোরণের। আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ছক ছিল কিন্তু তড়িঘড়ি গত ১০ নভেম্বরই সেই বিস্ফোরণ ঘটে যায়। ফরিদাবাদের ধাউজ গ্রামের যে বাড়িতে ভাড়া ছিল চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ গানাই।  আজ সেখানেই এল হরিয়ানা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। আইবি’র শীর্ষ তদন্তকারীরা এই বাড়িতে আসবেন।

চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই ফরিদাবাদের এই ভাড়া বাড়িতে পৌঁছয় হরিয়ানা এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। উদ্ধার হয় ৩৫৮ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। পাশাপাশি পাওয়া যায় একটি একে-৪৭ (AK 47) রাইফেল, একটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত ২০টি টাইমার এবং একটি ওয়াকি-টকি সেট।

আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই বাড়িতে মুজাম্মিল শুধুমাত্র নিজের মালপত্র রাখার জন্য ব্যবহার করত এবং রাতে কিছুক্ষণের জন্য আসতো। সেই সময় বেশ কয়েকজন গাড়ি নিয়ে আসতো। বেশিরভাগ সময় মুজাম্মিল নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলেই থাকত বলে জানিয়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা।

বাড়ি মালিকও জানিয়েছেন, ১৩ সেপ্টেম্বর মুজাম্মিল ধাউজ গ্রামে দোতলা বাড়ির উপরের তলাটি ভাড়া নেয়।
মুজাম্মিল নিজেকে চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েছিল। বাড়ি ভাড়া নিলেও, তাঁকে প্রায় দেখাই যেত না। এমনকী বাড়ি ভাড়ার টাকাও বাকি রয়েছে। বাড়ির মালিককে মুজাম্মিল জানিয়েছিল, আচমকাই চিকিৎসক হিসেবে সে চাকরি পেয়েছে। এই কারণেই এখন বাড়ি পাচ্ছে না। তাই যদি এই বাড়িটি ভাড়া পায়, তাহলে খুব ভাল হয়। মাদ্রাসী মুজাম্মিলের কথা বিশ্বাস করে এবং তাঁর বাড়ি থাকতে বলেন। মুজাম্মিল ওই দিনই বাড়ি ভাড়া নিয়ে নেয় এবং ২৪০০ টাকা অগ্রিম হিসেবে দেয় মাদ্রাসীকে। বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, তারপর থেকে দেখা পাওয়া যায়নি মুজাম্মিলের।শুধু রাতে আসত এবং মালপত্র রেখে বেরিয়ে যেত। তার সঙ্গে আর কখনোই দেখা সেভাবে হয়নি।

তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই এই বাড়িটিকে সিল করে দিয়েছে। তাদের মতে, এই বাড়িতে বসেই উমর এবং মুজাম্মিল যাবতীয় পরিকল্পনা ছকে ছিল। উমর দিনের পর দিন মুজাম্মিলের সঙ্গে এই বাড়িতে পড়ে থাকত। আল-ফাল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বাড়ির দূরত্ব মেরে কেটে দশ মিনিট। এই বাড়ি থেকেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়।

জানা গিয়েছে, জয়শ-ই-মহম্মদের সমর্থনে কাশ্মীর শহর সংলগ্ন নওগ্রাম এলাকায় একাধিক পোস্টার দেখা গিয়েছিল। সেই সময় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলওয়ামার বাসিন্দা এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদে বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মুজাম্মিল আহমেদ গানাইয়ের খোঁজ পায় তদন্তকারীরা। ১১ দিন আগে হরিয়ানা পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। গত রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় হরিয়ানার ফরিদাবাদে আল ফালহা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন আল ফালাহ স্কুল অব মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের জরুরি বিভাগে কাজ করছিলেন মুজাম্মিল। এরপরই মুজাম্মিলের এই ধাউজ গ্রামের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।