নয়া দিল্লি: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সরব চিকিৎসক মহল। আজ দেশ জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ওপিডি পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতালগুলি ফাঁকা। এদিকে, জাতীয়স্তরে কর্ম বিরতি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত চিকিৎসকশিবির। চিকিৎসকদের একাংশ কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে। ফলে কোন কোন হাসপাতালে কর্মবিরতি হবে, আর কোথায় পরিষেবা চালু থাকবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার উপরে নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় রাজ্যে কর্মবিরতি ডেকেছেন চিকিৎসকরা। রাজ্যের বাইরে দিল্লি, পটনা, ভুবনেশ্বর, ভোপাল, ঋষিকেশ, মঙ্গলগিরি, কল্যাণীর এইমস, পিজিআই চণ্ডীগঢ়, ইএসআই জোকা, পিজিআইএমএস রোহতক, লখনউয়ের কেজিএমইউ, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতাল, তেলঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশের জুডা সহ একাধিক হাসপাতালে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, এই কর্মবিরতি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে FORDA-র প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। এরপর তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা জানায়।
এরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় একাধিক হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। গতকাল গভীর রাতে এইমস (AIIMS) সহ দেশের ৩০ টি হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন। জানানো হয়, আজ বুধবারও পূর্ব ঘোষণা মত কর্মবিরতি চলবে। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্ন নেই।