Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: RSS কোনও সংগঠন নয়, এটা একটা গণআন্দোলন: প্রচারক অরুণ কুমার
Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: পাশাপাশি, তিনি জানান, 'সঙ্ঘ কোনও সংগঠন নয়, এটা সমাজ পরিবর্তনের একটা জন আন্দোলন। আর আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল এই সমাজের মঙ্গল। যা কোনও আইনি পরিবর্তন, নীতি নির্ধারণ দিয়ে সম্ভব নয়।'

বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তিনদিন ব্যাপী বার্ষিকী সম্মেলন ‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা’। গতকাল সরসঙ্ঘচালক মোহন ভগবত ও সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক বা সরকার্যদহ দত্তাত্রেয় হোসবলে এই সভার উদ্বোধন করেন। শনিবার সেই অনুষ্ঠানেরই ছিল দ্বিতীয় দিন। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন সঙ্ঘের অন্যতম প্রচারক অরুণ কুমার।
গতবছরেই শতবর্ষে পা দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। তারপর থেকেই সঙ্ঘের কার্য পরিচালনা ও কৌশলে আরও এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনতে উদ্যত্ত হয়েছেন প্রধানরা। এদিন অরুণ কুমারের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও উঠে এল সেই শতবর্ষে পা দেওয়ার পরের রূপান্তরগুলির কথা। অবশ্য, তিনি জানিয়েছেন সঙ্ঘের কাজের কৌশল সম্পর্কে আগামিকাল সঙ্ঘ প্রধান খুলে বলবেন।
পাশাপাশি, তিনি জানান, ‘সঙ্ঘ কোনও সংগঠন নয়, এটা সমাজ পরিবর্তনের একটা গণআন্দোলন। আর আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল এই সমাজের মঙ্গল। যা কোনও আইনি পরিবর্তন, নীতি নির্ধারণ দিয়ে সম্ভব নয়। এটা সম্ভব শুধুমাত্র মানুষের প্রয়াসের মধ্যে দিয়ে। গত শতবর্ষ ধরে এই কাজটাই আমরা করে আসছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯২৫ সালে সঙ্ঘের কাজ শুরু হয়েছিল, ১৯৪০ সাল নাগাদ আমরা এই দেশের প্রতিটি রাজ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিলেন। সত্তর সাল নাগাদ প্রতিটি জেলা ও ১৯৯৬ সালে প্রতিটি ব্লকে তখন RSS নিজের শাখা খুলে ফেলেছে। তবে এই গোটাটাই ভৌগলিক। এবার আমাদের সর্বস্পর্শী সর্বব্যাপী হতে হবে। অর্থাৎ দেশের প্রতিটা মানুষকে ছুঁয়ে ফেলতে হবে।’
এরপরেই তিনি জানান, ‘অরুণাচলপ্রদেশে আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা বলতে পারি, ওই রকম প্রাকৃতিক ভাবে বিপর্যয় প্রবণ এলাকাতেও সঙ্ঘ নিজের বিস্তার ঘটিয়েছে। আমাদের বরাবরই একটাই লক্ষ্য ছিল, যে যারা সমাজের উন্নতির জন্য, মানুষের জন্য কাজ করেন, এমন মানুষদের সংস্পর্শে সঙ্ঘকে নিয়ে আসতে হবে। এই ভিত্তিতে একটি ২ লক্ষ জনের তালিকাও তৈরি করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই সঙ্ঘ যোগাযোগ করেছে।’





