লখনউ: ‘হোমওয়ার্ক না করলে, ক্লাসে ঢুকবে না’, আগেই বলে দিয়েছিলেন শিক্ষক। গরমের ছুটি পড়ার আগেই এই কথা বলেছিলেন, ছুটি শেষে স্কুল খোলার পরও দেখলেন, তাও হোমওয়ার্ক করেনি ছাত্র। ব্যস, রেগে অগ্নিশর্মা শিক্ষক। বেধড়ক মারধর শুরু করলেন ছাত্রকে। এমন মার মারলেন যে ক্লাসেই অজ্ঞান হয়ে গেল পড়ুয়া। মারের চোটে ভেঙে গেল সামনের একটি দাঁত! বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকের এমন নির্মমতা দেখে স্তম্ভিত সকলে। পরে অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল ওই শিক্ষককে।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের রায়বরেলীতে। দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষক। কিশোরের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, ভেঙে গিয়েছে একটি দাঁতও। মারের চোটে ক্লাসরুমেই সংজ্ঞা হারায় ওই পড়ুয়া। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান শিক্ষক।
এরপর পড়ুয়ারাই প্রিন্সিপালকে খবর দেন। ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, ওই পড়ুয়ার বাবা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের নাম মহম্মদ আসিফ। তিনি ওই বেসরকারি স্কুলে কেমিস্ট্রি ও ফিজিক্স পড়াতেন। এপ্রিল মাসে গরমের ছুটি পড়ার আগে তিনি সমস্ত পড়ুয়াকে হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার স্কুল খুলতেই তিনি সেই হোমওয়ার্ক দেখতে চান। এক পড়ুয়া জানায়, ব্যক্তিগত কারণে সে হোমওয়ার্ক সম্পূর্ণ করতে পারেনি। এতেই রেগে যান শিক্ষক। লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন ওই পড়ুয়াকে। আঘাতে জ্ঞান হারায় পড়ুয়া, ভেঙে যায় একটি দাঁতও।
পড়ুয়া জ্ঞান হারাতেই বিপদ বুঝে পালিয়ে যান শিক্ষক। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আলাদা কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।