Supreme Court Issue Notice to ECI: পার্টির ফান্ডে কত অনুদান? হিসাব চেয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে! কমিশনকে নোটিস পাঠাল বেঞ্চ
Disclosure of Anonymous Fund: সম্প্রতি আয়কর আইনের ১৩ক (ঘ) ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন খেম সিং ভাটি নামে জনৈক ব্যক্তি। এই আইন রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে থাকে তা হল, প্রাপ্য অনুদানের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও রকম আয়কর দিতে হবে না।

নয়াদিল্লি: তখন প্রধান বিচারপতির আসনে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজনৈতিক দলের অনুদান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। নির্দেশ দিলেন, ‘নির্বাচনী বন্ড’ বাতিলের। কেন্দ্রের তৈরি এই আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে কটাক্ষ করলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি। এরপর কেটে গিয়েছে বছর। দেশের রাজনৈতিক দলগুলির অনুদান নেওয়ার বহর দেখে ফেলেছে ভারতবাসী। কিন্তু অনুদান কি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়েছে?
সোমবার এই প্রশ্নই উঠল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সময় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক অনুদান সংক্রান্ত মামলার আবেদন শুনছিলেন বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতা। মামলাকারীর আবেদন শোনার পর কেন্দ্র ও দেশের নির্বাচন কমিশনকে এই প্রসঙ্গে একটি নোটিস পাঠাল ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁদের অবস্থান জানতে চাইল আদালত। পাশাপাশি, চার সপ্তাহ পর থেকে এই মামলার শুনানি শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। কিন্তু হঠাৎ করে অনুদান প্রসঙ্গ ওঠার অর্থ কী?
সম্প্রতি আয়কর আইনের ১৩ক (ঘ) ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন খেম সিং ভাটি নামে জনৈক ব্যক্তি। এই আইন রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদানের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে থাকে তা হল, প্রাপ্য অনুদানের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও রকম আয়কর দিতে হবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে অনুদানকারী মর্জি মতো টাকা দান করতে পারবেন, এমনটাও নয়। সর্বাধিক ২ হাজার টাকা, তাও নগদে।
মামলকারীর আবেদন, ‘রাজনৈতিক দলগুলির কাছে নগদে কত টাকা ঢুকছে, কারা দিচ্ছেন, তার সমস্ত নথি বিবরণ জনসমক্ষে আনতে হবে। না হলে একজন ভোটারের স্বার্থ আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে।’ কয়েক মাস আগেই দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল অনুদানের যথাযথ হিসাব না দেওয়ার। মামলদাকারী দাবি, সেই ভিত্তিতেই এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাশাপাশি, দেশের নির্বাচন কমিশন এবং আয়কর বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আবেদনে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী। তাঁর দাবি, ‘কমিশন ও আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি কার্যত স্বীকার করেছে যে রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়া তহবিলের খতিয়ানে ভুলভ্রান্তি রয়েছে। যা জনসাধারণের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করে।’
