Uttar Pradesh: রাস্তা থেকে বেলচা দিয়ে চেঁছে লাশ তুলল পুলিশ! পড়ে ছিল ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে

Jan 17, 2024 | 6:51 PM

Police use shovel to scrape a body from Agra expressway: দেহটি কার, তা বোঝার কোনও উপায় নেই। পুলিশ শুধুমাত্র একটি আঙুল অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছে। পুলিশের আশা সেই আঙুলের ছাপ থেকে ফরেন্সিক দল মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে। না-হলে দেহটি কার, তা বোঝা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়বে। ঘটনাস্থল থেকে এছাড়া আর পাওয়া গিয়েছে মৃত ব্যক্তির একটি জুতো।

Uttar Pradesh: রাস্তা থেকে বেলচা দিয়ে চেঁছে লাশ তুলল পুলিশ! পড়ে ছিল ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে
রাস্তা থেকে বেলচা দিয়ে তুলতে হল দেহ
Image Credit source: Twitter

Follow Us

লখনউ: হাইওয়েতে পড়ে থাকল লাশ। আর তার উপর দিয়ে গোটা রাত ধরে চলে গেল একের পর এক গাড়ি। চাকার নীচে পিষ্ট হল সেই দেহ। মাখামাখি হয়ে গেল রাস্তার পিচে। ৫০০ মিটার জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে গেল সেই ক্ষতবিক্ষত দেহাংশগুলি। অবস্থা এমন হল যে রাস্তা থেকে বেলচা দিয়ে চেঁছে চেঁছে মৃতদেহের অংসগুলি উদ্ধার করতে হল পুলিশকে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে, উত্তর প্রদেশের আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে। দেহটি কার, তা বোঝার কোনও উপায় নেই। পুলিশ শুধুমাত্র একটি আঙুল অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছে। পুলিশের আশা সেই আঙুলের ছাপ থেকে ফরেন্সিক দল মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে। না-হলে দেহটি কার, তা বোঝা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়বে। ঘটনাস্থল থেকে এছাড়া আর পাওয়া গিয়েছে মৃত ব্যক্তির একটি জুতো। সেটিও শনাক্তকরণের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।।

আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে ওই লাশ ঠিক কতক্ষণ ধরে পড়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। কেন একের পর এক গাড়ি ওই দেহের উপর দিয়েচলে গেল, কেন সেটিকে পাশ কাটিয়ে গেল না বা পুলিশে খবর দিল না, তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। উত্তর ভারতের এখন রাত ও ভোরের দিকে প্রবল কুয়াশা পড়ছে। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য হয়ে যাচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অস্পষ্ট দৃশ্যমানতার জন্যই সম্ভবত, রাস্তায় পড়ে থাকা দেহটি দেখতে পায়নি গাড়ির চালকরা। এছাড়া, আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের গড় গতি থাকে ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার। ওই তীব্র গতিতে আচমকা গাড়ির স্টিয়ারিং ঘোরালে গাড়ির ভারসাম্য রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যায়। বিশেষ করে রাতের বেলা কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় যখন দৃশ্যমানতা খুব কম থাকে, গাড়িগুলি সম্ভবত খুব কাছে না আসার আগে পর্যন্ত দেহটি দেখতেই পায়নি। যখন দেখেছে, তখন হয়ত আর সরার উপায় ছিল না।

কিন্তু, কেন কেউ ঘটনাটির বিষয়ে রিপোর্ট করলেন না, তা অত্যন্ত রহস্যজনক। আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেস খুবই ব্যস্ত রাস্তা। দিনভর এই রাস্তা দিয়ে গড়ে প্রায় হাজার কুড়ি যানবাহন চলাচল করে। লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের আগ্রা সীমান্তবর্তী বামরাউলি কাটারা, ডাউকি এবং নিবোহরা – এই তিনটি থানা এলাকার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। সারা রাত এই থানাগুলির টহলদার বাহিনী আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে টহলও দেয়। প্রশ্ন উঠছে রাস্তায় পড়ে থাকা লাশ তারাও কেউ কীভাবে দেখতে পেল না? ওই রাতে আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের ছয়টি গাড়ি টহল দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের মতে, মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেলে পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। তারপরই এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা সম্ভব হবে। লাশের প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই বললে চলে। তাও যা আছে, তাই রাস্তা থেকে কাচিয়ে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ইন্সপেক্টর দেবেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তাদের অনুমান মৃতদেহটি কোনও পুরুষের, যার বয়স ৪০-এর ঘরে। তিনি বলেছেন, “লাশ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। একের পর এক যানবাহন দেহটির উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। দেহটিকে পিষে দিয়েছে। যার ফলে লাশটি অত্যন্ত বিকৃত হয়ে গিয়েছে। লাশটি টুকরো টুকরো হয়ে রাস্তার পিচের সঙ্গে আটকে গিয়েছিল। তাই পুলিশকে একটি বেলচা ব্যবহার করে সেগুলি সংগ্রহ করতে হয়েছে। শুধুমাত্র একটি আঙুল অক্ষত রয়েছে। আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, তদন্তে জানা গিয়েছে, এক ৪০ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করত। গ্রামের লোকজন তাঁকে খেতে দিত। রাতে রাস্তা পার হতে গিয়ে ওই ব্যক্তিরই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Next Article