নয়া দিল্লি: ইতি-উতি ঝড়বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর দেখা মিললেও, দমবন্ধকর ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মিলছে না আপাতত, এমনটাই জানাল মৌসম ভবন। রবিবারই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়, দেশজুড়ে আপাতত গরম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং তাপপ্রবাহ বইবে দিল্লি, হরিয়ানা,পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে। পার্বত্য অঞ্চলগুলিতেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু, পঞ্জাব, রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খণ্ডের একাধিক অংশেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি অবধি বেশি থাকতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, দিল্লি, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থানেও তাপমাত্রার পারদ চড়তেই থাকবে। গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতেরই তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়বে আগামী তিনদিনে। এরপরেই ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপপ্রবাহের প্রভাব সবথেকে বেশি বোঝা যাবে মধ্য প্রদেশ ও বিদর্ভে। আগামী ২০ এপ্রিল অবধি এই তাপপ্রবাহ জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
মৌসম ভবনের প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, প্রাক-বর্ষা মরশুমে উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত ১ মার্চ থেকেই এই মরশুমের সূচনা হলেও, উত্তর প্রদেশে এখনও অবধি একবারও বৃষ্টি হয়নি। পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগঢ় ও দিল্লিতেও ৯৯ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। হিমাচল প্রদেশে ৯৪ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৯০ শতাংশ ও রাজস্থানে ৮০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে।
চলতি বছরে গোটা দেশের সামগ্রিক বৃষ্টির ঘাটতির হার ৩৫ শতাংশ। এরমধ্যে দক্ষিণ পশ্চিমী অঞ্চলে ২৭ শতাংশ এবং পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব অংশে ১৪ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে পশ্চিম হিমালয় ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে গত ১২ এপ্রিল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হলেও, উত্তর-পশ্চিম ভারতের একটি বড় অংশই বৃষ্টিহীন অবস্থায় রয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ থেকে মাঝেমধ্যে স্বস্তি দিচ্ছে মেঘলা আকাশ ও হালকা বাতাস।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ থেকে দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগঢ়, পঞ্জাবে তাপপ্রবাহ বইবে। তবে মাঝেমধ্যে ঠাণ্ডা বাতাসের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ১৮ এপ্রিল থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে। আগামী দুই দিনে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেও।