বিচিত্র এই দুনিয়া, তাতে কত বিচিত্র ঘটনাই না ঘটে। এমনিতে এখন চাকরির বাজারে যেন হাহাকার দশা। চাকরি পাওয়া, সেই চাকরি টিকিয়ে রাখা নেই হাজারো লড়াই চলছে প্রতিদিন। আবার যাঁদের নিজস্ব ফার্ম বা অফিস রয়েছে তাঁদের ভাবনা অন্য রকম। ভাল বিশ্বস্ত লোক খুঁজে পাওয়াটাও যেন চ্যালেঞ্জ।
সমাজমাধ্যমে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন এক ব্যক্তি। মালিকের বাইরে থাকার সুযোগে অফিসের টাকাতেই ফেয়ারওয়েল পার্টি দিয়ে বসল তাঁরই সহায়ক। subreddit ব্যবহারকারী ‘FrostingRegular1328’ ‘AITAH’ (Am I the a**hole here) বলে subreddit কমিউনিটির কাছে প্রশ্ন করেন তিনি কি তাঁর সহায়ক কে চাকরি থেকে বিতারিত করে কোনও ভুল কাজ করেছেন?
এর পরেই পুরো ঘটনাটি বিশদে জানিয়েছেন তিনি। সেই ব্যক্তি বলেন, “তিনি সম্প্রতি লিলি নামে একজনকে সহায়কের পদে নিয়োগ করেন। তাঁর ছোট একটি কনসালটিং ফার্ম রয়েছে। কর্মী হিসাবে লিলি দক্ষ হলেও তাঁর ব্যক্তিত্ব বেশ রহস্যপূর্ণ।”
এরপরেই সেই মহিলা জানান, কয়েকদিনের জন্য কাজে শহরের বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় লিলি অফিসের সকলকে ইমেল করে জানান, ‘তিনি নতুন দিশা খোঁজার’ উদ্দেশ্যে এই চাকরিটি ছেড়ে দিচ্ছেন। সেই কারণেই অফিসে একটি ফেয়ারওয়েল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। এমনকি সেই ফেয়ারওয়েল পার্টির জন্য ক্যাটারিং,সাজানো গোছানো, কেক অর্ডার দেওয়া এবং বার টেন্ডার ডেকে মদ্যপানের ব্যবস্থা করেন অফিসে। আর এই সব কিছুর জন্য প্রয়োজনীর খরচা লিলি করেন অফিসের ‘ক্রেডিট কার্ড’ ব্যবহার করে। এই পার্টি করতে খরচ হয় ২০০০ হাজার ডলার।
AITA for firing my assistant after she used company money to throw herself a “farewell party” … but didn’t actually quit?
byu/FrostingRegular1328 inAITAH
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলে, ফেয়ারওয়েল পার্টি দিলেও বাস্তবে কোনও ইস্তফাপত্র জমাই দেয়নি লিলি। এমনকি সেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার কোনও অভিসন্ধি ছিল না তাঁর।
তাহলে লিলি কেন এমন করলেন? এই প্রশ্ন করতেই লিলি বলেন,তাঁর ইস্তফার খবর শুনে কতজন তাঁকে আটকাতে চায়, এবং কতজন তাঁকে অভিন্দন জানায় তা পরীক্ষা করতেই নাকি এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
কোম্পানির টাকার অপব্যবহারের জন্য তৎক্ষণাৎ লিলিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন মালিক। এর পরেই সমাজমাধ্যমে নিজের ‘বস’কে ‘হৃদয়হীন’ বলে কটাক্ষ করেছেন লিলি। এই কোম্পানিতে নতুন কিছু এক্সপ্লোর করতে দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেন লিলি।
এর পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ‘reddit’-এ এই পোস্টটি করেন ফার্মের মালিক। তিনি জানান, তাঁর অনেক বন্ধুই তাঁকে বলেছেন তিনি লিলিকে সাবধান করে বা তাঁর মাইনে থেকে টাকা কেটে নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পারতেন। তবে ওই মহিলা জানান, এটা একটা বিশ্বাসের ব্যপার। লিলি তাঁর বিশ্বাস ভেঙেছেন।