কলকাতা: প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন হাজার হাজার মহিলা। কর্মক্ষেত্রে বা অন্যান্য কাজে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মহিলা যাত্রীদের ভিড় থাকে ট্রেনে। সেই লোকাল ট্রেনেই উঠল হেনস্থার অভিযোগ। প্রথমে ট্রেনের ভিতরে হুমকি, হেনস্থা তরুণীকে, পরে শিয়ালদহের মতো জনবহুল স্টেশনে প্লাটফর্মে ফেলে মারধর তরুণীর সঙ্গীকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলন্ত ট্রেনে তরুণীর ছবি তোলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় তরুণীর বন্ধুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে শিয়ালদহ জিআরপি।
জিআরপি সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৯টা ৩০ থেকে ৯টা ৪৫-এর মধ্যে ঘটনাটি ঘটে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ২১ নম্বর প্লাটফর্মে। অভিযোগ, পুলিশের সামনে জিআরপি আউটপোস্টে বসেও তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। রাতেই লিখিত অভিযোগ জানান তরুণী। প্রথমে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার করে জিআরপি।
তরুণী জানিয়েছেন, বন্ধু তথা ‘বয়ফ্রেন্ডে’র সঙ্গে ঢাকুরিয়া থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে ওঠেন তিনি। পার্ক সার্কাস থেকে ওই ট্রেনে থেকে ওঠে তিন যুবক। তারা তরুণীর ছবি মোবাইলে তোলার চেষ্টা করে। তরুণী বলেন, “আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের কাঁধে মাথা দিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। ওরা ছবি তোলার চেষ্টা করে, বলে সব অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল করে দেব। আমি কে জানিস না।”
এরপর শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই তরুণী সপাটে চড় মারেন ওই তিনজনের মধ্যে এক যুবককে। এরপরেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে অভিযুক্তরা। অভিযোগ, এরপর তিনজন চড়াও হয় তরুণীর বন্ধুর ওপর। প্লাটফর্মে ফেলে মারা হয় ওই যুবককে। সেখানে কোনও পুলিশ দেখতে পাননি তরুণী। তিনি বলেন, “লিখিত অভিযোগ দায়ের করার সময়ও ওই তিনজন পুলিশের সামনে বলতে থাকে, কার গায়ে হাত দিয়েছিস জানিস না। দেখে নেব। জানিস না আমি কে।” ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে।