ভারতীয় রেলওয়ে
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড বলা হয় ভারতীয় রেলকে। শুরুটা হয়েছিল ১৮৩২ সালে। একসময়ে ছিল বাষ্পচালিত ট্রেন, বর্তমানে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে বৈদ্যুতিক ট্রেন। তারপর ধীরে ধীরে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ও গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এসেছে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন। বর্তমানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতীয় রেলের খোলনলচে বদলে দিয়েছে। এছাড়া শীঘ্রই আসতে চলেছে জাপানের ধাঁচে বুলেট ট্রেন। কেবল ট্রেনের কোচ বা গতি নয়, রেলস্টেশনগুলিরও মান ক্রমশ উন্নত করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ রেলস্টেশন তৈরি হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে চেনাব নদীর উপর। যাত্রীদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি স্বচ্ছতার উপরেও বিশেষ জোর দিয়েছে ভারতীয় রেল।
কেবল মাটিতে নয়, ভূ-গর্ভের নীচেও চলছে ট্রেন। যার নাম পাতাল রেল বা মেট্রো। কলকাতা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন শহরে চালু রয়েছে মেট্রো রেল। শীঘ্রই গঙ্গা নদীর নীচে দিয়েও চলাচল শুরু করবে পাতাল রেল। আর সেটা হচ্ছে হাওড়াতেই। যার নাম দেওয়া হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। এর আগে দেশে নদীর নীচে দিয়ে ট্রেন চলার নজির নেই। স্বাভাবিকভাবেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এক নজির গড়তে চলেছে।
কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়, ভারতীয় রেল দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। রেল থেকে মোটা টাকা আয় হয় দেশের। আবার ট্রেন যাত্রীদের সুবিধা, স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত অর্থও বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ট্রেন দুর্ঘটনা ঠেকাতে ও যাত্রীদের সুবিধা দিতে বিভিন্ন বৈদেশিক প্রযুক্তিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।