চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে ধরে গেল আগুন, আতঙ্কে পাশের ট্র্যাকে ঝাঁপ যাত্রীদের, সেখানেই আবার আসছিল ট্রেন! তারপর….
Railways: ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরাও। অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ট্রেন থেকে নামতে শুরু করেন। পাশের ট্রাকে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেক যাত্রী। কাকতালীয়ভাবে, সেই ট্র্য়াক দিয়ে আবার আসছিল খাগারিয়া থেকে আসা একটি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।

পটনা: বড়সড় মাপের রেল দুর্ঘটনা থেকে কোনওমতে রক্ষা। একটু হলেই মর্মান্তিক পরিণতি হত যাত্রীদের। চলন্ত অবস্থায় ট্রেনের ইঞ্জিনে লেগে গেল আগুন। চালকের তৎপরতায় দাঁড় করানো হয় ট্রেন। আতঙ্কে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। এদিকে, সেই সময়ই পাশের ট্র্য়াক দিয়েও আসছিল আরেকটি ট্রেন।
শনিবার এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে বিহারের বেগুসরাইয়ে। তিলরথ থেকে জামালপুরগামী একটি ট্রেনে আগুন লেগে যায়। ধানোলি ও ফুলওয়ারিয়ার মাঝে আচমকাই ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। গলগল করে কালো ধোঁয়া ও আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে থাকে। আগুন দেখেই ট্রেনের লোকো পাইলট ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করান। খবর দেন পরবর্তী স্টেশনে।
এদিকে, ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরাও। অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ট্রেন থেকে নামতে শুরু করেন। পাশের ট্রাকে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেক যাত্রী। কাকতালীয়ভাবে, সেই ট্র্য়াক দিয়ে আবার আসছিল খাগারিয়া থেকে আসা একটি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
ট্রেনের লোকো পাইলট দেখেন, ট্রাকের উপর দিয়ে দৌড়তে দৌড়তে আসছেন যাত্রীরা। এই দেখেই তিনিও তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন। এড়ানো যায় দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রেলের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর রেলের তরফে আরেকটি ইঞ্জিন পাঠানো হয় এবং ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
কীভাবে আগুন লেগেছিল ইঞ্জিনে, তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল।





