কলকাতা: আজকাল তো মোবাইলে আসক্ত নয় এমন মানুষের খোঁজ মেলা মুশকিল! মোবাইল ছাড়া জীবন যেন কার্যত অচল। আর চার্জ ছাড়া সেই মোবাইলই অচল। কখনও পাওয়ার ব্যাঙ্ক, কখনও ফাস্ট চার্জ, আবার কখনও শক্তিশালি ব্যাটারি, দিনভর বেশি সময়ের জন্য মোবাইলে বুঁদ থাকতে আজকাল এসবের পিছনেই ছুটছে মানুষ। মোবাইলে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার সমস্যায় আমরা প্রত্যেকেই পড়েছি। কিন্তু, ভাবুন তো যদি বাজারে এমন মোবাইলে থাকত যাতে একবার চার্জ দিলেই আজীবন চলবে! যদি এমন হতো চার্জার আর পাওয়ার ব্যাঙ্কের আর কোনও প্রয়োজন পড়বে না! শুনতে অবাক লাগলেও এবার যেন সেই স্বপ্নই সত্যি করতে চলেছেন চিনের একদল গবেষক।
তাঁদের দাবি, তাঁদের তৈরি ব্যাটারিতে একবার চার্জ দিলে তা চলবে ৫০ বছর। ভুল পড়ছেন না! এটাই সত্যি! ফোনে লাগানো এই ব্যাটারিতে একবার চার্জ দিলে আর চিন্তা নেই। কার্যত অর্ধেক জীবনেরও বেশি সময় কেটে যাবে এক চার্জেই। ব্যাটারির চার্জ শেষ হওয়ার আগে আয়ুই হয়তো শেষ হবে ফোনের। সোজা কথায় প্রথম নিউক্লিয়ার ব্যাটারি তৈরির দাবি করছে চিন। চিনের ডেটাভল্ট নামে এক স্টার্টআপের দাবি তাঁরা নাকি এরকম ব্যাটারি তৈরি করে ফেলেছে। যা বিশ্বের প্রথম পারমানবিক শক্তি চালিত ব্যাটারি।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেনডেনডেন্টে এই খবর বেরিয়েছে। যা সামনেই আসতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। চিনা এই স্টার্ট আপ সংস্থা বলছে তাঁদের এই নিউক্লিয়ার ব্যাটারি আবার আকারে কয়েনের থেকেও ছোট। এই ব্যাটারি আলাদা করে দেখভালের কোনও প্রয়োজন নেই। মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১২০ ডিগ্রি পর্যন্ত তা সাবলীল ভাবে চলতে সক্ষম। ব্যাটারি থেকে যে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হবে তাতে মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা মোবাইলের জন্য ব্যাটারি তৈরির কাজ করছেন। পরে ড্রোনের জন্য কাজ হবে। তা সফল হলে পরবর্তীতে রোবট, উন্নত সেন্সর, মহাকাশ গবেষণা, পেস মেকারে নিউক্লিয়ার ব্যাটারি ডিজাইনে ব্যবহার করা হতে পারে এই নিউক্লিয়ার ব্যাটারি।