কলকাতা: আবারও দেবকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির তলব। সূত্রের খবর, ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ইডি অফিসে তৃণমূল সাংসদ দেবকে তলব করেছে ইডি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত এক মামলায় দেবকে ডাকা হয়েছে। শুধু দেব নয়, জানা গিয়েছে তৃণমূলের পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিককেও আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডেকেছে। সূত্রের খবর, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট উত্তমকে তলব করেছে। তবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই তলব। একদিকে তৃণমূলের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে ইডির তলব, অন্যদিকে শাসক-বিধায়ক উত্তম বারিককে আইটির তলব।
গত কয়েকদিনে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেব। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কম জল্পনা চলেনি। সেইসব জল্পনাতে ঘৃতাহুতির কাজ করেছিল দেবের একাধিক মন্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ার স্টেটাস। বাজারে রটেই গিয়েছিল, দেব এবার তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন। এবার আর ভোটেও লড়বেন না।
তবে সেসব জল্পনা কল্পনায় জল পড়ে গত সপ্তাহে। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে দিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন দেব। সেই বৈঠক সেরে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও যান দেব। এরপরই সব জল্পনার মোড় ঘুরতে শুরু করে। দেব নিজেই বলেন, তিনি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি তাঁকে ছাড়বে না।
এরপরই গত সোমবার আরামবাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভাসঙ্গী হিসাবে দেখা যায় ঘাটালের সাংসদ দেবকে। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা জানিয়ে দেন, দেব আবারও ঘাটালের প্রার্থী হচ্ছেন। জানিয়ে দেন, দেব তাঁর কাছে ‘চ্যাম্পিয়ন’। মমতার সেই চ্যাম্পিয়নকেই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ডেকে পাঠিয়েছে বলে খবর।
২০২২ সালের এই ফেব্রুয়ারি মাসেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন দেব। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারিই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কারণ হিসাবে সে সময় উঠে এসেছিল দেব-এনামূল যোগের অভিযোগ।
গরু পাচার মামলায় ২০২০ সালে এনামূল হককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই এনামূলের সঙ্গেই নাকি দেবের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগ, দেবকে দামি ঘড়িও নাকি উপহার দিয়েছিলেন এনামূল। যদিও সে সময় দেব স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এনামূলকে তিনি চিনতেনই না। আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রশ্নই নেই। দেব বলেছিলেন, তাঁকে আর ডাকবে বলে মনেও হয় না। তবে এবার ইডির তলব।