কলকাতা: রাজ্য সভাপতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে বিজেপি। দলের নতুন রাজ্য সভাপতি হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। রাজনৈতিক মহল বলেন যিনি দিলীপবাবুর মতো আলটপকা মন্তব্য করেন না। আবার দিলীপ ঘোষের কাঠখোট্টা মন্তব্যও তাঁর দলের কর্মী এবং অনুগামীদের প্রিয়? তাঁরা কি মিস করবেন না দিলীপ ঘোষকে? Tv9 বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে এ নিয়ে মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।
তাঁর কথায়, “আমার নিজস্ব একটা বাচন ভঙ্গী আছে। অনেকের পছন্দ হয়। আবার অনেকে বলে কী বড্ড উল্টোপাল্টা বলে। তাঁদের জন্য একটা অফার দিয়েছি। নিন লেখাপড়া জানা অধ্যাপককে দিয়েছি।” দলের নতুন রাজ্য সভাপতি কে এভাবে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আবার তিনি এও জানালেন নিজের স্টাইল, কথা বলা বদলাবেন না। জানালেন, এই বয়সে বদলানো যায় না।
এদিকে তাঁর রামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। তথাগত রায়ের এক টুইট বার্তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন ”রামকৃষ্ণ দেব, রবীন্দ্রনাথ প্রথাগত ভাবে খুব বেশী পড়াশোনা না করলেও গোটা বিশ্ব তাঁদের কথা শোনে, মনে রেখেছে। তাঁদের বই পড়ি আমরা, আমাদের জীবন তৈরি করে সেগুলি।” এরপরই দিলীপের সংযোজন, ”এটাই ভারতের সংস্কৃতি। যারা বুঝতে পারেন না, তাঁদের কিছু তো বলার নেই।”
এটা কি ঠিক বলেছেন? টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলীপ জানালেন, নিজের অবস্থানে তিনি অনড়। তাঁর কথায়, “মিথ্যা কথা বলেছি আমি? যাঁরা স্কুল-কলেজ পাশ করতে পারেনি ইউনিভার্সিটিতে তাঁদের বই পড়ানো হয়। এমন উদাহরণ অনেক আছে। যাঁরা কটা ডিগ্রি নিয়ে বড় বড় ডায়লগ মারে তাঁদের জন্য বলেছি। আমি বলেছি, তোমার কন্ট্রিবিউশন কী আছে? মানুষকে তুমি কী দিয়েছ?”
এখানেই থামেননি দিলীপ। তিনি যোগ করেন, ‘ডিগ্রি তো আজকাল পয়সা দিলে পাওয়া যায়। আমি বলেছি, ওই ডিগ্রি নিয়ে সারাজীবন কিছু লোক ধোঁকা দিচ্ছেন। অসামাজিক কাজ করছেন। তাতে ডিগ্রির অপমান হচ্ছে। আমি বলেছি ডিগ্রি ছাড়াই অনেকে মহাপুরুষ হয়েছেন। সমাজকে দিশা দিয়েছেন। তাঁদের লোক অনুকরণ করে। আর ওঁদের লেখা বই পড়িয়ে আপনি কামাচ্ছেন। সেটাই বলেছি আমি।’
এদিকে পুরসভা ভোট নিয়েও মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। পুরসভা ভোটে সব কটি আসনে কি লড়াইয়ের জায়গায় রয়েছে বঙ্গ বিজেপি? দিলীপবাবুর কথায়, “পঞ্চায়েত ভোটে সেই সময় যদি লড়াই করতে পারি, এখন তো অনেক ভাল জায়গায় আছি। তবে এটা ঠিক যে অত্যাচারের ভয়ে অনেকে চুপ করে আছেন। তবে এবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লড়ব। এটা তো লোকাল বডি ইলেকশন। এক একটা বুথে লড়াই হবে। এক একটা ওয়ার্ডে লড়াই হবে। আমরা তৈরি আছি”।
আবার দলবদলু দের নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতা যিনি এতবছর মন্ত্রী থাকার পর দলবদল করেন সেটাকে কী বলবেন! তবে এটাও ঠিক যে বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতাদের উপর দল নির্ভর করে না।”
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: এবার আমিও ছটপুজোর ব্রত করেছি, শুধু চা খেয়ে আছি: মমতা