কলকাতা: সকাল থেকে দু-একটি বিক্ষিপ্ত অশান্তি বাদ দিলে তেমন কোনও বড় অঘটন ঘটেনি ভবানীপুরে (Bhabanipur By-Election)। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে হতে অশান্তি থেকে বাদ থাকতে পারল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র। ‘হামলা’ চালানো হল বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) গাড়িতে। অভিযোগ যথারীতি উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তৃণমূলও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে কল্যাণের গাড়ি যে ভাঙচুর হয়েছে সেই ছবি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কল্যাণের দাবি, বিজেপি ভুয়ো ভোটার ধরে নেওয়ার জেরেই ভাঙচুর চালানো হয়।
সূত্রের খবর, দুপুর সওয়া ৩ টে নাগাদ ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ বোস রোডে এই ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁর গাড়ি আটকে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কল্যাণকেও নিগৃহীত হতে হয়েছে বলে দাবি। অন্যান্য বিজেপি কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে নিজেদের হতাশা চেপে রাখেনি বিজেপি। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কথায়, নির্বাচন কমিশন সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। কেন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও ভূমিকা নেওয়া হল না, সেটাও জানা নেই, বলেন অর্জুন। যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যে ওয়ার্ডে ‘হামলার’ ঘটনা ঘটেছে, সেখানে অবাঙালি ভোটারদের অভিযোগ বেশি। এই ওয়ার্ডে বিজেপি বরাবর লিডও নিয়ে থাকে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, কল্যাণ খবর পেয়েছিলেন কয়েকজন ভোটার ভোট দিতে বেরোচ্ছেন না। তাঁদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতেই যাচ্ছিলেন কল্যাণ। বিজেপির অভিযোগ, শেষ বেলায় যাতে অবাঙালি ভোটাররা বেশি ভোট না দেন, সেটা নিশ্চিত করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপির পর্যবেক্ষক অর্জুন সিং এই নিয়ে বলেন, “মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু জানি না কোন অদৃশ্য কারণে কমিশনের ভূমিকা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। যেভাবে তৃণমূল জমায়েত করছে, ভুয়ো ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছে, এরপর ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, কিন্তু কোথাও কিছুই দেখা যাচ্ছে না।” তৃণমূল যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।