কলকাতা: ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল আরজি কর হাসপাতালচত্বর। অভিযোগ, শনিবার পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান চিকিৎসকদের একাংশ ও পড়ুয়ারা। পুলিশ কেন প্রথমে আত্মহত্যার তত্ত্ব তুলল, সেই প্রশ্নকে সামনে রেখে এদিন পথে নামেন পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে আরও একাধিক অভিযোগ। কিন্তু শনিবার দুপুরের পর নতুন মোড় নেয় ঘটনা। আরজি করের মেইন গেটে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মূল গেট আটকে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের নাম করে কেউ ঢুকছে। তাদের সঙ্গে বহিরাগতরা ঢুকছে। যারা এই প্রতিবাদকে অন্য অভিমুখ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত তিনি নিজে রয়েছেন। বারবার বলতে থাকেন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু পরিস্থিতি কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। যশোর রোড অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পরে আসেন যুগ্ম কমিশনার রূপেশ কুমারও।
আরজিকরের বর্তমান পড়ুয়ারা কোনওভাবেই বহিরাগতের প্রবেশ ক্যাম্পাসে চান না। অথচ এখানে এসএফআই, ডিএফআইয়ের মিছিল যেমন আসে, বাইরের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা ভিতরে ঢুকতে চান। অভিযোগ, এদিন তাঁরা ভিতরে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশ কার্যত নাজেহাল হয় এই পরিস্থিতি সামাল দিতে। বাইরে থেকে আসা প্রতিবাদীদের বক্তব্য, ক্যাম্পাসটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। যে ক্যাম্পাসে একজন ডাক্তার রেপ হয়ে খুন হয়ে যায়, সেখানে প্রতিবাদ করতে এলে বহিরাগত বলা হয়।
অভিযোগ, শ’য়ে শ’য়ে আন্দোলনকারী। স্বচ্ছ তদন্তের দাবি ওঠে। আরেক আন্দোলনকারী বলেন, “জাস্টিস চাইছে যারা তাদের আটকাচ্ছে। বলছে আমরা এখানে ঝামেলা করব।” এই ভিড়ে রয়েছে বহু অভিভাবকও। এরকমই একজন বলেন, “জীবনের অনেক কিছু ত্যাগ করে এখানে ডাক্তারি পড়তে আসে। সেখানে এই ঘটনা।” তবে আরজিকরের পড়ুয়ারা বারবার বলছেন, রাজনীতির রং যেন এই প্রতিবাদে না লাগে।
রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের বা আরডিএ-এর এক সদস্য বলেন, “আমরা আরজিকর পিজিটিদের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি সমস্ত রেডিডেন্টকে, যাদের সঙ্গে যতটুকু খারাপ ব্যবহার হয়েছে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের আন্দোলন আমাদের সবার। আমরা লিখিত বিবৃতি দেব। জিবি মিটিংয়ে পাশ করিয়ে বিবৃতি দেব।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)