উত্তর ২৪ পরগনা: করোনার বিধিনিষেধে বন্ধ হোটেল, রেস্তোঁরা। তবে অনলাইনে কিনে এনে ঘরে বসে খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আর সেই অনলাইনে খাবার কিনে খেতে গিয়েই প্রতারণার শিকার হলেন দমদমের এক তরুণী। ১৩০ টাকার খাবার খেতে গিয়ে খোয়ালেন ২৫০০০ টাকা। ব্যারাকপুর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। শুরু হয়েছে তদন্ত।
শতরূপা দাস নামে দমদমের ওই তরুণী পেশায় মডেল। গত শুক্রবার তিনি সুইগি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার দেন। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও সেই খাবার আসেনি। পরে ডেলিভারি বয় ফোনে তাঁকে জানান, খাবার তিনি দিতে পারবেন না। অর্ডার ক্যানসেল করে দিন। শতরূপার অভিযোগ, এরপরই সুইগির হেল্পলাইনে তিনি বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই তাঁকে ‘এনি ডেস্ক’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: শিশির অধিকারী, সুনীল মণ্ডলদের সাংসদপদ খারিজ করা হোক, লোকসভার অধ্যক্ষকে ফোন সুদীপের
সেখানে একটি কোড নম্বর স্ক্যান করতেই পাঁচ দফায় মোট ২৫০০০ টাকা গায়েব হয়ে যায় শতরূপার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। ১৩০ টাকা ফেরত পেতে গিয়ে ২৫ হাজার টাকা চোট হয়ে যায় তাঁর। দমদম থানায় অভিযোগ জানান তিনি। একইসঙ্গে সাইবার ক্রাইম থানাতেও অভিযোগ করেন। দমদম থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও শতরূপার দাবি, পুলিশের তরফে এখনও অবধি বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। উল্টে প্রতারকরা তাঁকে ফোন করে আবারও স্ক্যান করার কথা বলছে। অর্থাৎ, পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও দমানো যাচ্ছে না এই সাইবার প্রতারকদের।