DA Agitation: ‘বিরোধী দলনেতা ছাড়া কেউ খোঁজ নেননি’, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের
DA: সোমবার থেকে কালো ব্যাজ পরে নিজের নিজের এলাকায় প্রতীকী আন্দোলন করবেন সরকারি কর্মচারিরা। একইসঙ্গে ভাস্কর জানান, নবান্নের সামনে অনশন করতে চেয়ে তাঁরা পুলিশের কাছে আবেদন জানাবেন। সেখানে অনুমতি না পেলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তবে মার্চে যে ধর্মঘটের ডাক, তাতে সাধারণ মানুষকেও অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চ।
কলকাতা: অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েও তা প্রত্যাহার করল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তা জানান মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তিনি জানান, সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের যে ধর্মঘট হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। মাধ্যমিকের কারণে এই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিয়েছেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনশন ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি।
তবে সোমবার থেকে কালো ব্যাজ পরে নিজের নিজের এলাকায় প্রতীকী আন্দোলন করবেন সরকারি কর্মচারীরা। একইসঙ্গে ভাস্কর জানান, নবান্নের সামনে অনশন করতে চেয়ে তাঁরা পুলিশের কাছে আবেদন জানাবেন। সেখানে অনুমতি না পেলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তবে মার্চে যে ধর্মঘটের ডাক, তাতে সাধারণ মানুষকেও অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চ।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে রাজ্য সরকারের কর্মীদের একটা অংশ আন্দোলন শুরু করেছেন। সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি করেন এমন কর্মীরা এক ছাতার তলায় এসে তৈরি করেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। ভাস্কর ঘোষ এদিন বলেন, “সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি বঞ্চিত সাধারণ মানুষকেও আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান করছি।”
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে চারজন অনশনে বসেন। তাঁদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থাও খারাপ হয়। যা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লেখেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ভাস্কর ঘোষ বলেন, “এই ৯ দিন ধরে অনশন করছেন। প্রত্যেকের ওজন ৪-৫ কিলো কমেছে। চারজনের মধ্যে তিনজনের ইউরিনে কিটন বডি দেখা গিয়েছে। একজনের বিলুরুবিন অত্যন্ত বেশি। একজনের লিভারের কার্যক্ষমতার রিপোর্ট ভাল না। আজ সন্ধ্যায়ও ডাক্তাররা আসবেন। বিরোধী দলনেতা ছাড়া কেউ খোঁজ নেননি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া পাইনি।”