প্রতীকী চিত্র।
Image Credit source: Pixabay
কলকাতা: দমকা হাওয়া দিয়ে শুরু। কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠল ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। রবিবার উত্তরবঙ্গে ঝড়টা এসেছিল এভাবেই। শুরুর দিকে কেউ আন্দাজ করতে পারেননি, আধ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। রবিবার সন্ধের ঝড়-বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি। বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ঝড়ে উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ, ভেঙে পড়েছে বাড়ি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত শতাধিক। আবহাওয়া দফতরের তরফে আজও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গে।
চৈত্র মাসের শেষভাগ চলছে। এইসময়েই আসে কালবৈশাখী। নিমেষে লন্ডভন্ড করে দেয় সবকিছু। গতকাল জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ির ঝড়বৃষ্টিটাও এমনই ছিল। আপনার এলাকাতেও যদি হঠাৎ ঝড় ওঠে বা কালবৈশাখী আসে, তবে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে, উত্তরবঙ্গের মতো বিপর্যয় কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব।
কালবৈশাখীতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
- ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির বাইরে যাবেন না। ঘরের জানালা-দরজা ভালভাবে বন্ধ করে রাখুন।
- ঝড়ের সময় বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দিন এবং মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন।
- ঝড়ের সময় ছাদে বা বারান্দায় রাখা গাছের টব নামিয়ে রাখুন। ঝড়ে টব পড়ে পথচলতি মানুষের বিপদ হতে পারে।
- হাতের কাছে মোমবাতি বা ইমার্জেন্সি লাইট মজুত রাখুন। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে অসুবিধা হবে না।
- ঘরে পর্যাপ্ত পানীয় জল, শুকনো খাবার ও ওষুধ মজুত রাখুন।
- যারা বাইরে থাকবেন, তারা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।
- পুরনো বাড়ি বা গাছের নীচে আশ্রয় নেবেন না।
- ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকুন। রাস্তাঘাটে চলাচলের সময়ও বিশেষ নজর রাখুন, যাতে খোলা তারে পা না রাখেন। নাহলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- বজ্রপাতের সময় বাড়ির জানালার কাছে থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন।
- ঘনঘন বজ্রপাত হলে, ধাতব বস্তু, যেমন জলের কল, রেলিং, পাইপ বা রড স্পর্শ করবেন না।
- বজ্রপাত, ঝড়বৃষ্টি হলেই টিভি-ফ্রিজ ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক পণ্যের প্লাগ খুলে দিন।
- প্রবল ঝড় হলে, গাড়ি চালাবেন না। নিরাপদ কোনও জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে অপেক্ষা করুন। গাছের নীচে দাঁড়াবেন না।