প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: উনিশের লোকসভা ভোটের আগেই বেশ কয়েকজন আধিকারিককে সরানো নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল রাজ্যকে (WB Govt)। এবারও যাতে একই পরিস্থিতি না হয় তা নিশ্চিত করতে আগেভাগে উপদেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যে আধিকারিকদের নাম বিতর্কে জড়িয়ে রয়েছে, বা বিতর্কে জড়াতে পারে বলে অনুমান, তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগেই সরানো হোক তাঁদের। এমনটাই চায় নির্বাচন কমিশন। রাজ্য প্রশাসন যদি কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ করে, তবে কমপক্ষে ১৫-২০ জন পুলিস আধিকারিককে সরতে হতে পারে। এ বাদেও বেশ কয়েকজন আইএএস আধিকারিককে সরানো হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে।
বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা এবং বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে পুলিস আধিকারিকের নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর নজর আরও কড়া হয়েছে সিবিআই-এর। এমতবস্থায় কমিশন আধিকারিকদের বদলির নির্দেশ জারি করে রাজ্যের অস্বস্তি বাড়াতে চাইছে না।
আরও পড়ুন: দিল্লির রাজপথে অশান্তির জন্য কেন্দ্রের ‘উদাসীনতাকেই’ দুষলেন মমতা
সম্প্রতি কমিশনের ফুল বেঞ্চ এসেছিল রাজ্যে। সূত্রের খবর, সে সময় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা বলেছিলেন, গত লোকসভা ভোটের মতো আমরা আইপিএস-আইএএস অপসারণ করতে চাই না। ব্যবস্থা নিক রাজ্যই। তিনি এ কথা বলে যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এই পরামর্শ এল কমিশনের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটের সময় আইপিএস অনুজ শর্মা, জ্ঞানবন্ত সিং, অভিষেক গুপ্ত, অর্ণব ঘোষ, এস সেলভমুরুগন, শ্যাম সিংদের সরতে হয়েছিল। বদলি হওয়া আইএসদের তালিকায় ছিলেন, অত্রি ভট্টাচার্য, এস উমাশঙ্কর। নতুন করে এদেরকেই সরানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এ বার সময়ের আগেই রাজভবনে মমতা, চা-চক্রে কুশল বিনিময় মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের