এ বার সময়ের আগেই রাজভবনে মমতা, চা-চক্রে কুশল বিনিময় মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের
চা-চক্র শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ আগেই রাজভবনে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে কিছু সময় রাজ্যপালের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন মমতা। এরপর যোগ দেন চা-চক্র অনুষ্ঠানে।
কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) বিকেলে চা-চক্রে রাজভবনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সকালে রেড রোডে পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানের একবার মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল গড়াতেই ফের সাক্ষাৎ হল তাঁদের। মঙ্গলবার প্রোটোকল মেনে রাজভবনে গিয়ে অনেকটা সময় কাটান তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাসি মুখেই কুশল বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar)।
এ দিন চা-চক্র শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ আগেই রাজভবনে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে কিছু সময় রাজ্যপালের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন মমতা। এরপর যোগ দেন চা-চক্র অনুষ্ঠানে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় হাজির হন। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সরকারের উচ্চপদস্থ আমলারা। রাজ্য পুলিসের ডিজি ও কলকাতা পুলিসের কমিশনারও হাজির ছিলেন চা-চক্রে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অনুষ্ঠান।
Glimpses at Raj Bhawan during AT HOME on the occasion of Republic Day. pic.twitter.com/zo7wIN12Jn
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 26, 2021
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও প্রথামাফিক এই অনুষ্ঠান হয়েছিল রাজভবনে। তবে মনে করিয়ে দেওয়া যায়, গত বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন এই চা-চক্রের অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন মমতা। বিকেলের অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না জানিয়ে আগেভাগেই রাজভবনে গিয়ে ঝটিকা সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরে এসেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বিকেলে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি ভাল চোখে দেখেননি রাজ্যপাল। কড়া ভাষায় একটি টুইট করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টর র্যালিতে উত্তাল রাজধানী! তড়িঘড়ি বৈঠকে অমিত শাহ
টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। কিন্তু ফাঁকা আসনটি থেকেই স্পষ্ট যে একটা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা কিনা বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। এই অনাবশ্যক অবস্থানের সপক্ষে কোনও যুক্তিই খাটে না।”
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর র্যালিতে কৃষক মৃত্যু, উত্তাল রাজধানী