দিল্লির রাজপথে অশান্তির জন্য কেন্দ্রের ‘উদাসীনতাকেই’ দুষলেন মমতা

অশান্তির ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। মমতার মতে, এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের 'উদাসীনতাই' দায়ী।

দিল্লির রাজপথে অশান্তির জন্য কেন্দ্রের 'উদাসীনতাকেই' দুষলেন মমতা
ছবি- ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Jan 26, 2021 | 6:54 PM

কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনই রাজধানীতে কৃষক আন্দোলনের (Farmer Protest) এক ব্যতিক্রমী রূপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে নিন্দায় সরব শাসক-বিরোধী নির্বিশেষে সকল মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিষয়টি নিয়ে একটি টুইট করেছেন মঙ্গলবার সন্ধেয়। তবে অশান্তির ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। মমতার মতে, এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের ‘উদাসীনতাই’ দায়ী।

মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন, “দিল্লির রাজপথে যে ঘটনাগুলি ঘটেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের এবং বেদনার। কৃষক ভাই-বোনেদের প্রতি কেন্দ্রের অসংবেদনশীল মনোভাব এবং উদাসীনতাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।” এটাই ছিল মমতার প্রথম টুইট। দ্বিতীয় টুইটে তিনি লিখেছেন, “প্রথমত, কৃষকদের সমর্থন ছাড়াই এই আইনগুলি পাস করানো হয়েছিল। এরপর গত দু’মাস ধরে ভারতজুড়ে আন্দোলন সত্ত্বেও তাঁদের প্রতি কেন্দ্রের মনোভাব ছিল অত্যন্ত অবহেলার। কেন্দ্রের উচিত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ড্রাকোনিয়ান আইন বাতিল করা।”

কৃষকদের ট্রাক্টর র‍্যালিকে কেন্দ্র করে এ দিন কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয় দিল্লির রাজপথ। পুলিস-অন্নদাতা সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। এদিন ট্রাক্টর নিয়ে লাল কেল্লা চত্বরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত কৃষকরা। পতাকা লাগিয়ে দেন লালকেল্লার চূড়ায়। ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যুও হয় এক কৃষকের। সব মিলিয়ে রাজধানীর একাংশ জুড়ে অবনতি হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। রাজধানীর একাংশে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। কৃষকদের এহেন আন্দোলনের সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ দেশের বিভিন্ন দলের নেতারা। তার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আরও পড়ুন: ট্রাক্টর র‍্যালিতে উত্তাল রাজধানী! তড়িঘড়ি বৈঠকে অমিত শাহ

কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মঙ্গলবার দুপুরে টুইট করেন এই নিয়ে। তিনি লেখেন, “হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আহত যেই হন না কেন, লোকসান আমাদেরই দেশের।” এরপরই কেন্দ্রের উদ্দেশে আবেদনের সুরে তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে কৃষক-বিরোধী এই আইন প্রত্যাহার করুন।”

আন্দোলের স্বরূপ দেখে নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। তিনি লিখেছেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি প্রথম থেকেই কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে এসেছি। তা বলে আমি অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো দিনে পবিত্র জাতীয় পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা লাল কেল্লায় শোভা পায় না।”

আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর র‍্যালিতে কৃষক মৃত্যু, উত্তাল রাজধানী