কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার পাশাপাশি শীতের দাপট বেড়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। সঙ্গে দাপট বেড়েছে কুয়াশারও। এদিকে প্রায়দিনই কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমায় পথচারী থেকে থেকে চালকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করছে হাওয়া অফিস। এখন বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে কুয়াশা চিন্তা বাড়াছে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর। প্রসঙ্গত, ভারতের অস্থির পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চড়াও হয়েছে ভারত সরকারের। উদ্বেগের মেঘ দিল্লিতে। এমতাবস্থায় সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়েছে বিএসএফের টহল, বেড়েছে নজরদারি।
এদিকে সীমান্তের একটা বড় অংশ কাঁটাতারহীন হওয়ায় চিন্তা আগে থেকেই ছিল। এখন সেই সমস্ত এলাকায় ঘন কুয়াশা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই কুয়াশাকে চ্যালেঞ্জ করে অনুপ্রবেশ বা দুষ্কৃতীদের ঠেকানো রীতিমতো যুদ্ধের সমান কাজ বলে মনে করছে বিএসএফ। এই বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়ে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মনিন্দার সিং পাওয়ার বলেন, শীতকালে কুয়াশা বরাবরই চ্যালেঞ্জের জায়গা থাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা।
অত্যাধুনিক নজরদারি যন্ত্র যেমন আনা হয়েছে। তেমনই অন্য এলাকা থেকেও নজরদারির জন্য বাড়তি জওয়ানদের আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে কুয়াশাকে হাতিয়ার করে অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে, তার জন্য বাড়তি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অন্তর্গত এই চারটি জেলার সীমান্তের বেশ কিছু অংশ রয়েছে যা উদ্বেগের কারণ।
বিষয়টি নিয়ে যদিও দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি বললেন, ইতিমধ্যেই রাতের সীমান্ত পাহারায় শক্তিশালী ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে বাড়তি দায়িত্ব জওয়ানদেরও। এদিকে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা সীমান্ত ৯১৩.৩২৪ কিমি। জল সীমান্ত রয়েছে ৩৬৩.৯৩০ কিমি। যার মধ্যে প্রায় ৫৩৮ কিমি অংশে কাঁটাতার নেই। যেসব অংশ এখনও অরক্ষিত, সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের ভিতরে যে ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হচ্ছে, তা নিয়ে জওয়ানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপরতলার নির্দেশ ছাড়া যে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না তাও স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।