কলকাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে লাগাতর খবরের জের! অভিযোগ উঠছে, বিতর্কিত স্যালাইন ব্য়বহার করাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। এখনও আশঙ্কাজনক তিন। সোমবার সকাল পর্যন্তও ২ জনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য় রাজনীতি। লাগাতর খবরের জেরে ঘুম ভাঙল স্বাস্থ্য় দফতরের। আশঙ্কাজনত তিন প্রসূতিকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। গ্রিন করিডর করে এসএসকেম নিয়ে আসা হচ্ছে।
রবিবার মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজে যান ১৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। তাঁরা পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখেন। সোমবার এসএসকেএম-এ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। বৈঠকের নির্যাস, প্রসূতি মৃত্য়ুর পিছনে যে একমাত্র স্যালাইনই রয়েছে, তা মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা ড্রাগ টেস্টের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। সেই রিপোর্ট এলেই, তাঁরা নিশ্চিত হবে কীভাবে প্রসূতির মৃত্যু, অন্যান্য প্রসূতিদের অসুস্থতা! পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও জমা পড়েনি রিপোর্ট। প্রাথমিক একটা রিপোর্ট জমা পড়েছে। রাতের মধ্যেই রিপোর্ট চলে আসবে। এখন রোগীদের ওপরই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
আপাতত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রিন করিডর করে তাঁদের কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাঁদের যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়, সেদিকে নজর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেছেন, “উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। ডক্টর টিম, মেডিক্যাল বোর্ড বসেছে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমার কিছু বলার নেই।”
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের মজুত সব লিঙ্গার ল্যাকটেটের ব্যবহারই বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিশেষজ্ঞ দলের পরিদর্শনের পর তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে। আরও ৭ ওষুধের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।