কলকাতা: আজ থেকে শুরু উচ্চ-মাধ্যমিক। চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১.১৫। করোনা সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর রাজ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। এবার উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা তাঁদের নিজেদের স্কুলে বসেই পরীক্ষা দেবে। প্রায় ৮ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষক এবং পড়ুয়া মহলে বেশ তৎপরতা রয়েছে। স্কুলগুলিকেও সেই রকম ভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া রয়েছে করোনা বিধি মেনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে হোম সেন্টারে পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। বাড়তি সুবিধা পাবে কি পড়ুয়ারা? কী বলেছে তারা?
এক পরীক্ষার্থীর কথায়, “হয়ত খুব কড়াকড়ি হবে না। কারণ নিজের স্কুলে পরীক্ষা হচ্ছে। শিক্ষকরা আমাদের চেনেন। তাই কিছুটা হলেও আমাদের সাহায্য মনে হয় করবেন।” আবার ভিন্ন মতও রয়েছে। অনেক পড়ুয়া জানালেন, “আশা করছি না এমন কেউ কিছু করবে। স্কুলের যেহেতু সন্মান রয়েছে। আশা করছি সেটা প্রত্যেকে রাখার চেষ্টা করবে।”
এদিকে, সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা যাতে পরিচালনা করা হয় সেই বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। টোকাটুকির খবর এলে বাতিল হতে পারে স্কুলের অনুমোদন।সতর্ক বাণী সংসদের। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “যে কোনও বিদ্যালয়ের, যে কোনও মাস্টার মশাইয়ের নৈতিক দায়িত্ববোধ রয়েছে। সেক্ষেত্রে গণ-টোকাটুকিকে কোনও শিক্ষক যদি অনুমতি দেন আমার মনে হয় মাস্টার-মশাই নিজেই ছাত্রদের কাছে নিজেকে সস্তা করে দেবেন।” অন্যদিকে, সহ প্রধান এক শিক্ষক সৌদিপ্ত দাস জানান, “স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা ঠিক যেমন কড়া ভাবে হয়, এক্ষেত্রেও সেই একই রকম ভাবে হবে।তার কারণ পুরো লাগাম ছাড়া হয়ে গেলে নিজেদেরই সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করা হবে।” সেই কারণে হোম সেন্টারে পরীক্ষা এখন বাড়তি চ্যালেঞ্জ শিক্ষকদের কাছে। সংসদের সতর্ক বার্তার পর প্রতিটি স্কুলই তাই বিশেষভাবে সতর্ক।