Bangladeshi Militant: জেএমবি-আল কায়েদার কায়দাতেই বাংলায় ঘর বাঁধছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন? গোয়েন্দা রিপোর্টেই সব পর্দাফাঁস
Bangladeshi Militant: পরিযায়ী শ্রমিকদের বড় অংশই দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে কেরল এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন শহরে কাজ করতে যান। ফলে দক্ষিণ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগের সাংগঠনিক করিডোর তৈরি আপাতভাবে সহজ। তাই কাজে লাগাতে চাইছেন জঙ্গি সংগঠনের নেতারা।
কলকাতা: জেএমবি এবং আল কায়েদা উপমহাদেশের ছক অনুসরণ করেই সংগঠন বাড়াচ্ছে নিষিদ্ধ ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরি। সংগঠনের দুই সদস্যের ভারত আগামন, সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা, এবং মে মাসের শেষে ফের বাংলাদেশে পলায়নের ছবি দেখে এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। এই রাজ্যেও হিজবুতের টার্গেট মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে কোচবিহার নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অশান্তির আঁচ এসে পৌঁছেছে এপার বাংলাতেও। অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তা বেড়েছে সরকারের। সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। কিন্তু গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, সীমান্তবর্তী এলাকা মূলত মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে কোচবিহার নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ধরেই সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা করছে HuT.
প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকদের বড় অংশই দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে কেরল এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন শহরে কাজ করতে যান। ফলে দক্ষিণ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগের সাংগঠনিক করিডোর তৈরি আপাতভাবে সহজ। তাই কাজে লাগাতে চাইছেন জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। দক্ষিণ ভারতে HuT সংগঠন রয়েছে, যাদের সরাসরি যোগ আছে পাকিস্তানে এবং পশ্চিম এশিয়ায় থাকা হ্যান্ডলারদের সঙ্গে। ফলে দক্ষিণ ভারত থেকে প্রয়োজনে লজিস্টিক সাপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম থেকে সংগঠন করলে বাংলাদেশ থেকে ব্যাকআপ এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশের সংগঠন এই দেশে ব্যাকআপ লজিস্টিক পাবে। এই একই পথ অনুসরণ করেছিল জেএমবি এবং আল কায়েদা উপমহাদেশ। খাগড়াগড় পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া শীর্ষ জেএমবি নেতারা পালিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ ভারতে। মুর্শিদাবাদে আল কায়েদা মডিউল প্রকাশ্যে আসার পর ১১ জন গ্রেফতার হয়। এদের প্রায় সবাই পরিযায়ী শ্রমিক বলে জানা গিয়েছিল। এদের অনেকে দক্ষিণ ভারতে অনেকে আশ্রয় নিয়েছিল বলেও জানা যায়। এই পদ্ধতিতে HuT সীমান্তবর্তী এলাকার পুরোনো HuJI এবং সিমি র সংগঠন বা স্লিপার সেল গুলোকেই সংগঠন বিস্তারে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানতে পারছেন গোয়েন্দারা।