মিমি ছাড়াও দেবাঞ্জনের ফাঁদে পড়েছিলেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ!

Jun 30, 2021 | 12:11 PM

তখনও দেবাঞ্জন নিজেকে আইএএস ও কলকাতা পুরসভার কর্তা হিসাবেই পরিচয় দিয়েছিলেন।

মিমি ছাড়াও দেবাঞ্জনের ফাঁদে পড়েছিলেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ!
ফাইল ছবি

Follow Us

সুজয় পাল: দেবাঞ্জন কাণ্ডে (Debanjan Deb) উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) ছাড়াও আরও এক সাংসদকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। জালিয়াতির জালে পড়তে চলেছিলেন দোলা সেনও (Dola Sen)। তাঁর সঙ্গেও কথা হয়েছিল ক্যাম্প নিয়ে।

রাজ্যসভার সাংসদ তথা শ্রমিক নেত্রী দোলা সেনের সঙ্গে ভ্যাকসিন ক্যাম্প করার বিষয়ে কথা হয়েছিল দেবাঞ্জনের। লালবাজার সূত্রে খবর, রাজপুর সোনারপুর এলাকার তৃণমূল নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে দোলার সঙ্গে কথা হয়েছিল দেবাঞ্জনের।

তখনও দেবাঞ্জন নিজেকে আইএএস ও কলকাতা পুরসভার কর্তা হিসাবেই পরিচয় দিয়েছিলেন। দোলা জানতে পেরেছিলেন বিনামূল্যে বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিন দিচ্ছেন দেবাঞ্জন। লালবাজারের গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছিলেন, দোলা সেন দেবাঞ্জনকে বলেছিলেন দমদম এলাকায় গিয়ে একটি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ক্যাম্প করার জন্য।

দেবাঞ্জন তখন জানিয়েছিলেন, তাঁর এই সেট আপ দমদমে নিয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয়। দোলাকে দেবাঞ্জন বলেছিলেন তাঁর কসবার অফিসে লোক পাঠালে তিনি বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দেবেন। যদিও দোলা কসবায় লোক পাঠাতে না পারায় শেষমেশ সেই ক্যাম্প করানো যায়নি।

তদন্তে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) সদর দফতরে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল কসবা কাণ্ডে (Kasba Fake Vaccination Camp) দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb)। প্রায় প্রতিদিনই দফতরের কোনও না কোনও অফিসারের ঘরে যেতেন তিনি। গত এক দেড় বছর ধরে সেখানে বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করছেন দেবাঞ্জন। জেরায় এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু প্রশ্ন সেখানেই। দেবাঞ্জনকে কি চিনতেই পারেননি? দেবাঞ্জন কি নিজেকে সেখানে জয়েন্ট কমিশনার বলে পরিচয় দিতেন?

ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের কসবার অফিস থেকে কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের নথিও উদ্ধার হয়েছে। কম্পিউটার থেকে উদ্ধার হয়েছে আইটি ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন নথিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পুরসভা তার দায় এড়াতে পারে না।

আরও পড়ুন: নারদ মামলায় মুখ্য়মন্ত্রীর হলফনামা আদৌ কি গ্রহণ করা হবে? বুধে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুরসভার কোন কোন আধিকারিক, কর্তাদের ঘরে আসা যাওয়া ছিল দেবাঞ্জনের? জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভার এক-দু’জন কমিশনারের ঘরে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। শুধু তাই নয়, পুরসভার সচিবালয়, বিজ্ঞাপন বিভাগ প্রায় রোজই যাতায়াত করতেন দেবাঞ্জন। করোনা কালের মধ্যেই পুরসভায় জাল বিছিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। পুরসভায় কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সুযোগেই নিজের জাল বিছিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুরসভা। তবে অস্বস্তিও চরমে।

Next Article