কলকাতা: নিউ আলিপুর মাদক কাণ্ডে (New Alipur Drug Case) পামেলা গোস্বামীকে (Pamela Goswami) জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে। কলকাতা পুলিশের দাবি, পামেলা গোস্বামী জেরায় জানিয়েছেন, রাকেশ সিং (Rakesh Singh) তাঁকে কোকেন সরবরাহ করতেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যস্থতা করত দুই লিঙ্কম্যান। তারা রাকেশ সিংয়ের থেকে কোকেন পামেলার কাছে পৌঁছে দিত। ওই দুই ব্যক্তির খোঁজ করছেন আধিকারিকরা।
তবে প্রশ্ন উঠে আসছে, রাকেশ সিং কোথা থেকে কোকেন পেতেন? তারও সূত্র খুঁজছেন গোয়েন্দারা। আপাতত রাকেশ সিং লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে। তাঁকে আদালতে তুলে হেফাজতে পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। যদিও রাকেশ সিং প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন, পামেলা তাঁকে ফাঁসাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে দু’জনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ খানো এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং চলছিল। রাকেশ সিং এর ফোন ট্র্যাক করে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে জাতীয় সড়ক ধরে পূর্ব বর্ধমানের দিকে এগোচ্ছেন তিনি। বর্ধমান জেলা পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ।
এরপরেই রাকেশকে ধরতে পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু হয়। খানোতে রাকেশকে পাকড়াও করে গলসি থানার পুলিশ। আটক করা হয় রাকেশের গাড়ি চালক ও নিরাপত্তারক্ষীকে। তাঁর গাড়িটিও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ গলসি পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের ছয় সদস্যের একটি দল। রাকেশকে লালবাজারে আনা হয়।
আরও পড়ুন: সকলের সামনে দিয়েই ঢোকান রাকেশকে, কিন্তু দেখতে পারলেন না কেউই! বিশেষ কায়দা লালবাজারের গোয়েন্দাদের
গ্রেফতার পর রাকেশ সিং বলেন, “এই ভাবে ফাঁসিয়ে, আমাকে ভিতরে ঢুকিয়ে তৃণমূল কখনই ক্ষমতায় আসবে না। আমার বাড়ির ভিতর পুলিশ ঢুকিয়ে, ছেলেদের গ্রেফতার করিয়ে কি তৃণমূল আর ক্ষমতায় আসবে ভাবছে? এটা লজ্জা।”