কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আল্টিমেটাম’ দিয়ে দিয়েছেন। আর তাঁর নির্দেশের পরই ফুটপাত দখল করে বসে থাকা হকারদের উচ্ছেদে অ্যাকশনে পুলিশ। বুধবার সকালে চিড়িয়াখানার সামনে চলল উচ্ছেদ অভিযান। চিড়িয়াখানার সামনে আশেপাশে মোট ১৫০ এর বেশি দোকান রয়েছে। পুলিশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বারবার করে এখানকার হকারদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। যে কারণে বুধবার সকালে কলকাতা পুরসভার পে লোডার এনে সব ঝুপড়ি দোকান এবং হকারদের সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় ঝুপড়ি দোকানগুলিকে। চোখের সামনে রুজি রুটি হারাতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী বললেন, ব্যবসায়ী বলেন, “এই বয়সে আর কোথায় যাব, ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা, বউ, সন্তান সব রয়েছে, এখন না খেয়ে মরতে হবে।”
আলিপুরের পাশাপাশি যদুবাবুর বাজার, ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক, নিউটাউনেও চলছে উচ্ছেদ অভিযান। উচ্ছেদ অভিযান চলে কোল ভবন সংলগ্ন এলাকায়। অভিযানে নেমে হকারদের বিক্ষোভের মুখে এনকেডিএ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে বিধাননগরের ডিসি’র নেতৃত্বে পুলিশের বিশাল বাহিনী। পুলিশ, এনকেডিএ আধিকারিকদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ হকারদের। ঘনঘন মাইকিং করে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বদ্ধপরিকর এনকেডিএ। এখানেও বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে দোকান। বিক্ষোভের জেরে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বেন্টিং স্ট্রিটেও ফুটপাত দখল মুক্ত করার কাজ চলছে।